ফের বাড়লো ডিমের দাম

    জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ডিমের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যায়। প্রতি ডজন ডিম ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় উঠে। পাড়া-মহল্লার কোনো কোনো দোকানে তা ১৮০ টাকাতেও বিক্রি হয়। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রীর ডিম আমদানির ঘোষণায় ডিমের দাম কমে ১২০ টাকায় নামে। সপ্তাহ না যেতেই আবারো বেড়েছে ডিমের দাম। ডজন প্রতি ১০ টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ১৩০ টাকা। উৎপাদন কিংবা সরবরাহে ব্যাঘাত না ঘটলেও ডিমের দাম বার বার বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। তারা বলছে, সরকারের তদারকির অভাবে ডিমের দাম বার বার বাড়ানো হচ্ছে। বিএনপি বাজারে ডিম কিনতে আসা শাহনাজ খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো, তাহলে আমাদের মতো মানুষের এতটা ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। এর আগে হুট করেই ডিমের দাম বেড়ে ১৭০ টাকা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল।

    সেই ডিম কিছুদিন আগে ১২০ টাকায় নেমে আসে। এতে মানুষ স্বস্তি পেয়েছিল। তবে কোনো কারণ ছাড়াই ডিমের দাম আবারো ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আরেক ক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, মাছ-মাংসের দাম বেড়ে গেছে। এরপর আবারো ডিমের দাম বাড়লো।
    আজ এক ডজন ডিম কিনেছি ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে কিনেছিলাম ১২০ টাকা দিয়ে। অল্প টাকা বেতনে ঢাকায় থাকাই এখন দায় হয়ে গেছে। বিএনপি বাজারের ব্যবসায়ী রাফসান বলেন, আমরা নির্ধারিত একজন আড়তদারের কাছ থেকে ডিম কিনি। প্রতিদিন তারা ডিম দিয়ে যায়। তাদের নিকট থেকে আমাদের বেশি দামে ডিম কিনতে হয়েছে। এজন্য আমরা ১০ টাকা বেশি দিয়ে ডিম বিক্রি করছি। তিনি বলেন, ডিমের দাম কেন বাড়ানো হলো জানি না। তবে ডিমের দাম বাড়লে আমাদের লাভের পরিমাণ কমে আসে। বেড়েছে লবণের দাম: এদিকে লবণের দামও বেড়েছে। ৩৫ টাকা কেজির লবণের দাম বেড়ে ৩৮ টাকা হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, এক সময় কোনো পণ্যের গায়ে যা লেখা থাকতো তার চেয়ে এক টাকা বা দুই টাকা কমে বিক্রি করা হতো। তবে এখন আর কমে বিক্রি করা হয় না। প্যাকেটে যা লেখা থাকে তাই বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ী আশাদুল ইসলাম বলেন, আমি তো ভেবেছিলাম সব পণ্যের দাম কমবে ধীরে ধীরে।

    কিন্তু এর উল্টো ঘটলো। ২৫ কেজি প্যাকেট লবণের প্রতি বস্তায় ৫০ টাকা বেড়েছে। আর প্রতি কেজিতে ২/৩ টাকা করে বেড়েছে। বিএনপি বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী রাজেদুল বলেন, সবকিছুর পাশাপাশি এবার লবণেরও দাম বেড়েছে। আমার মনে হচ্ছে আরও বাড়তে পারে। কেন বাড়ছে জানি না। ক্রেতা মফিজুল ইসলাম বলেন, শেষ পর্যন্ত লবণেরও দাম বাড়লো। মানুষ এমনিতেই বিপদের মধ্যে আছে। যে পণ্যের দাম বাড়েনি সেই পণ্যের দাম এখন বাড়ার তো কোনো কারণ নেই। তারপরও কেন বাড়ছে। সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে।