চ্যাম্পিয়নস লীগে যে রেকর্ডে হালান্দের ধারে কাছেও নেই কেউ

রেকর্ড গড়ার জন্যই যেন ম্যানচেস্টার সিটিতে এসেছেন আরলিং হালান্দ। ২২ বছর বয়সী এই নরওয়েজিয়ান তারকা চলতি মৌসুমে রয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে। সিটির জার্সিতে সব প্রতিযোগিতায় ৮ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লীগে সেভিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেন হালান্দ। এই প্রতিযোগিতায় ২০ ম্যাচে ২৫ গোল করলেন তিনি। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম ২০ ম্যাচের হিসাবে হালান্দের ধারেকাছেও নেই কেউ। গোল রেশিওতে তার পেছনে রয়েছেন জার্ড মুলার, আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, ফেরেঙ্ক পুসকাস, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির মতো কিংবদন্তিরা।

চ্যাম্পিয়নস লীগের ইতিহাসে সর্বাধিক গোলদাতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকা ১৮৩ ম্যাচে ১৪০ বার জালে বল পাঠিয়েছেন। তবে নিজের প্রথম ২০ ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি রোনালদো। তার গোল রেশিও ০.৭৭।

দুই নম্বরে থাকা লিওনেল মেসি ১৫৭ ম্যাচে করেছেন ১২৫ গোল। মেসির গোল রেশিও ০.৮০।
রবার্ট লেভানদোভস্তি ১০৬ ম্যাচে ৮৬ গোল নিয়ে তিন নম্বরে। তার গোল রেশিও (০.৮১) মেসি-রোনালদোর চেয়ে ভালো। লেভানদোভস্কির সমান গোল করলেও ম্যাচ বেশি খেলেছেন করিম বেনজেমা (১৪৩)।

রোনালদো-মেসি ছাড়া বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে টমাস মুলার ১৩৪ ম্যাচে ৫২, নেইমার ৭৬ ম্যাচে ৪১ এবং মোহাম্মদ সালাহ ৭১ ম্যাচে করেছেন ৩৬ গোল।

কিলিয়ান এমবাপ্পে প্রতি ১২০ মিনিটে একবার জালে বল পাঠিয়েছেন। ৫৪ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৩৫টি। এমবাপ্পের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন হালান্দ। প্রতি ৬৩ মিনিটে একটি গোল করেছেন তিনি। হালান্দের গোল রেশিও ১.২৫। কমপক্ষে ২০ ম্যাচ খেলেছেন এমন ফুটবলারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। হালান্দের কাছাকাছি রেশিও বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান কিংবদন্তি জার্ড মুলারের (০.৯৭)। ১৯৬৯-১৯৭৭ পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন মুলার। হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাস ৪১ ম্যাচে করেন ৩৬ গোল। ম্যাচপ্রতি তার গোল ০.৮৮টি। ব্রাজিলের হোসে আলতাফিনি ২৮ ম্যাচে করেছিলেন ২৪ গোল। রিয়াল মাদ্রিদ গ্রেট আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ৫৮ ম্যাচে জালে বল জড়ান ৪৯ বার। তার গোল রেশিও ০.৮৪।