দুনিয়াজুড়ে মুসলিমরা রোজা পালন করছেন। রোজার অপরিহার্য অনুষঙ্গ ইফতার। বিভিন্ন দেশের মানুষ নানা স্বাদের খাবার দিয়ে ইফতার করেন। কোথাও কোথাও একই দেশে অঞ্চলভেদে ইফতার সামগ্রীতে পার্থক্য দেখা যায়। তবে সাধারণভাবে সব দেশের ইফতারে ফল, জুস, খেজুর, পানি, দুধ বেশ প্রচলিত। এগুলোর সঙ্গে স্থানীয় কোনো কোনো কোনো আইটেম যুক্ত হয়।

আমাদের দেশে খেজুর, শরবত, ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ এসব ছাড়া ইফতারের আয়োজন পূর্ণ হয় না। ইফতারের পর একবাটি হালিম অথবা মিষ্টিমুখ করতে মচমচে জিলাপি বা মিষ্টি ফলে কামড় দেয়া বাঙালির চিরন্তন রীতি।
আমাদের দেশের মত অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়েই ইফতার করেন রোজাদাররা। এক্ষেত্রে আমরা উল্লেখযোগ্য মুসলিম দেশ হিসেবে ইরান এবং আফগানিস্তানের খাদ্য তালিকা আগে উল্লেখ করেছি। আজ থাকেছে প্রাচীণ সভ্যতার দেশ মিশরের মুসলিমদের ইফতার আয়োজনের কথা।
মিশরে ইফতারের তালিকায় যা থাকে
মিশরের ইফতার আয়োজনেও এক নম্বরে থাকে খেজুর। সঙ্গে দুধ ও নানা রকম ফল-ফলাদি।
এছাড়াও মিসরে ইফতারের খাদ্য তালিকায় থাকে বাদামি রুটি ও মটরশুঁটির মাধ্যমে তৈরি মেডেম। মটরশুঁটি স্বাস্থ্যকর ও পেটের জন্য ভালো। বেশির ভাগ পরিবারে তেল, লবণ ও মরিচ দিয়ে রান্না করা হয় মেডেম। অনেকে আবার পেঁয়াজ ও টমেটোর সংমিশ্রণেও খাবারটি প্রস্তুত করেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এক বিশেষ ধরনের পানীয়ও তৈরি করেন মিশরীয়রা, যার নাম কামার আল দিনান্দ আরাসি। শুকনা আখরোট সারাদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানীয়টি প্রস্তুত করা হয়।
রমজানে ইজিপশিয়ানদের আরেকটি বিশেষত্ব হলো চাঁদ আকৃতির এক ধরনের রুটি তৈরি করা, যার নাম খাবোস রমজান।
তাছাড়া মিশরীয়রা মিষ্টিপ্রিয় বলে রোজার মাসে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিও তারা তৈরি করেন। সেগুলোর মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হলো- ‘কানাফাহ’, ‘কাতায়েফ’ ও ‘বাকলাওয়াহ’।
ইফতারে সবশেষে কড়া চা পান করে তারা তারাবীহ নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।











