হাটগুলোতে বাড়ছে কোরবানির পশু, তবে কেনাবেচা জমে উঠেনি

আর মাত্র কয়েকদিন কোরবানির ঈদ। বেচাকেনা এখনও পুরো জমে না উঠলেও চট্টগ্রামে হাটগুলোতে বাড়ছে বিভিন্ন জাতের গরু ছাগলের সংখ্যা। এরই মধ্যে বিভিন্ন গরুর বাজারে ভরপুর রয়েছে গরু। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এসব গরু আকারেও যেমন বড়, দামও চড়া। তবে বেচাকেনা এখনো জমজমাট হয়ে উঠেনি।
গরুর সংখ্যা বেশি হলেও বাজারে ক্রেতার সমাগম কম। যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগেরই চাহিদা ছোট ও মাঝারি আকারের গরু। বাজারে ছোট আকারের গরু ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারে গরু ৮০ থেকে ১ লাখ টাকায় বেচা কেনা হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, শহরে জায়গা সল্পতার কারণে গরু রাখার জায়গা না থাকায় তাড়াতাড়ি গরু কিনছেন না। ঈদের ২/১ দিন আগেই গরু কিনতে চান তারা।

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে নগরের সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট, কর্ণফুলী গরু বাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট ও দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কসংলগ্ন খালি মাঠ ও পতেঙ্গা লিংক রোড সংলগ্ন খেজুর তলা মাঠের গরুর বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু আসছে। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে গরুর গোসল, স্যালাইন, খড়, ভূষি খাইয়ে তরতাজা করার চেষ্টার অন্ত নেই বেপারীদের।

বিবির হাট গরুর বাজারের বেপারী আব্দুর রহিম জানান, গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। মনে করেছিলাম কয়েক বছরের লোকসান এ বছর কাটিয়ে ওঠতে গরুও মজুদ করেছি। কিন্তু বৃষ্টির ভয় কাজ করছে। বৃষ্টির কারণে গরুর দাম কমে যেতে পারে।

বিবির হাট গরুর বাজারের ইজারাদার মো. রেজাউল করিম রিটন বলেন, বিবির হাট বাজারে ১২ হাজার মতো গরু উঠেছে। এখনো গরু বিক্রি তুলনামূলক কম। মানুষ বাজারে আসেন বিকেলে। দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩’শ টি গরু বিক্রি হয়েছে। বাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে গরু বাজারে মলমপাটি, চাঁদাবাজি ও যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এব্যাপারে বিবিরহাট গরুর বাজারে কর্মরত পাচঁলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুর রহমান সোহেল বলেন, সিনিয়র স্যারদের নির্দেশনায় আমরা গরুর বাজারে দায়িত্ব পালন করছি। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছি। এখনো পর্যন্ত বাজারে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিশেষ করে জাল টাকার বিষয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত করোনার কারণে গত বছর কোরবানির গরুর বাজার জমজমাট হয়ে উঠেনি। বেপারিরাও ব্যবসায় তেমন ভালো করতে পারেননি।