গরমে ঠিক কি ধরণের পোশাক পরলে আরাম লাগবে এটা নিয়ে অনেকেই চিন্তা থাকেন। শুধু স্বাচ্ছন্দ্য বা আরাম নয়, দেখতেও যেন সুন্দর লাগে, নিজেন ব্যক্তিত্ব অটুট থাকে সেটাও ভাবনার বিষয়। কারণ আরামের সঙ্গে সুন্দরের কোনো বিরোধ নেই।
তাই এমন পোশাক পরতে হবে, যা গরমে আরামও দেবে এবং দেখতেও সুন্দর লাগবে। পোশাক পরার আগে দেখে নেবেন সেই পোশাক কোন কাপড়ের তৈরি ও রঙটা কি। এই দুইয়ের ওপরেই নির্ভর করে গরমের আরাম আর স্বাচ্ছন্দ্য। জেনে নিন গরমে পোশাকের কাপড় ও রঙ কেমন হবে।
হালকা রঙের কাপড় শরীরে তাপ ধরে রাখে না আর মনেও আসে প্রশান্তি
সুতি: গরমে যেকোনো হালকা রঙের সুতি কাপড় নির্বাচন করা উচিত পোশাক তৈরির জন্য। কারণ সুতি খুব হালকা হয় আর সুতার তৈরি বলে সুতির কাপড়ের মধ্যে দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। তাই সুতির কাপড় শরীর ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখে। গরমের সময়টাতে পুরুষরা জিন্সের বদলে কটনের প্যান্ট পরলে বেশ আরাম পাবেন।
খাদি: সুতির মতোই আরামদায়ক হলো খাদি। খাদি খুব সহজেই হ্যান্ডেল করা যায়। খাদি খুব ভালো ভাবে বাতাস সরবরাহ করে শরীরে। খাদি খুব সহজে ঘাম শুষেও নেয়। ফলে শরীরে ঘাম বসে না। আর খাদি এখন ফ্যাশনে ইন বলাই যায়। তাই গরমে বেছে নিতে পারেন খাদির পোশাক।
গরমে পোশাকের প্যাটার্নেও এসেছে ভিন্নতা
লন ক্লথ: এটি হালকা ফ্যাব্রিকের বলে এই কাপড়ের তৈরি পোশাক পরলে অনেকটা বেবি সফট ফিলিং আসে। লন ক্লথ লিনেন আর কটনের মিশ্রণে তৈরি হয়। তাই এটা হালকা ও নরম। যেহেতু টেক্সচার হালকা সেজন্য গরম কম লাগে।
সিরসাকার: এই ফেব্রিক শরীর ঠাণ্ডা রাখে। এ কাপড়টি ভেতর থেকেই খুব ঠাণ্ডা। আর এর ওজন বেশ হালকা। গরমের জন্য বেশ আরামের।
গরমে সুতি কাপড় নির্বাচন করা উচিত পোশাক তৈরির জন্য
ফ্রিস্কো: গরমের পার্টি থাকলে ফ্রিস্কোর তৈরি পোশাক পরলে দারুণ লাগবে। এতে আরামও পাবেন, সঙ্গে একটা ট্রেন্ডি লুকও আসবে। এটি হালকা এবং পোশাকের মধ্যে বাতাস চলাচলের যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করে দেয় ফ্রিস্কো কাপড়।
পোশাকের রঙ: গরমে গাঢ় রঙের পোশাক সূর্যের আলো বেশি শুষে নেয়। তাই গরম বেশি লাগে। সাদা পোশাক বেশ উপকারী গরমে। শরীর ঠাণ্ডা রাখে। এ ছাড়া হালকা রঙের সবুজ, বেগুনি, আকাশি, নীল হলুদের নানান শেড খুবই ভালো গরমে পরার জন্য। এভাবে পোশাক নির্বাচন করলে গরমে খুব একটা সমস্যা হবে না। আরামও লাগবে, সঙ্গে ফ্যাশনও হবে।