আজ শনিবার দেশের অধিকাংশ এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি ও শিলাও পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদেরা। এদিকে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দাবদাহ কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন আভাসটাই দিচ্ছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছিল, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমাগত শক্তি অর্জন করছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা আজকের মধ্যেই বোঝা যাবে। নিম্নচাপটির পরিণতি কী হবে, অর্থাৎ এটি নিম্নচাপ অবস্থা থেকেই দুর্বল হয়ে যাবে, নাকি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আজ কালবৈশাখী হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৩০ এপ্রিল নাগাদ এটি দেশটির উত্তর তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি আসতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল থেকে ওই দুই রাজ্যে প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌকাসহ নৌযানগুলোকে সাগরে না যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।