দেশের ৪ কোটিমানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করছে

সমাজসমীক্ষাসংঘেরপ্রাক-বাজেট গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা –

একটি দেশে জাতীয়বাজেটেনীতিসংস্কার এবংবাজেটেরআয়-ব্যয়পরিকল্পনা দুইউপায়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিকপরিবর্তনে প্রভাবরাখতেপারে। বাংলাদেশ মধ্যমআয়েরযাত্রাপথে উত্তরণকরেছেএবং ২০২৪ সালেউন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে। দেশেরমাথাপিছু গড় আয় বেড়ে ন্যূনতম ১২৩০ মার্কিনডলারেরসীমাঅতিক্রমকরে ১২৭৪ মার্কিনডলারহয়েছেএবংধারাবাহিকভাবেবাংলাদেশেরজিডিপি ৭% এরউপরেরয়েছে। কিন্তু এখনো দেশের ৪ কোটিমানুষ দারিদ্র্য সীমারনীচেবাসকরছে। দারিদ্র্য হারকমিয়েআনারঅতীতসাফল্য আশাবাদীকরলেওআয় বৈষম্যেরবৃদ্ধিপাওয়াএকটিউদ্বেগেরবিষয়।সমাজসমীক্ষাসংঘেরসভাপতিকাজীমাহমুদ ইমামবিলু’রসভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতপ্রাক-বাজেট গোলটেবিল বৈঠকেমূলপ্রবন্ধে অর্থনীতিবিদ ড. অনন্য রায়হান উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিবিষয়কগবেষনাধর্মীসংগঠনসমাজসমীক্ষাসংঘেরআয়োজনেনগরীর থিয়েটারইনস্টিটিউটমিলনায়তনেপ্রতিবছরেরন্যায়এবারওঅনুষ্টিতহয়েছেপ্রাক্-বাজেট গোলটেবিল বৈঠক। উক্ত গোলটেবিল বৈঠকেচট্টগ্রামেরবিভিন্ন শ্রেনী-পেশারপ্রতিনিধিত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে নিজনিজ শ্রেনীবা পেশারপ্রকৃত বাজেটভাবনাসম্পর্কে আলোচনাকরেন।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, বিগতবছরগুলিতেসরকারেররাজস্ব আয়েরপ্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জকহলেওযথেষ্টনয়। রাজস্ব আয়বাড়ানো যেমনজরুরী, তেমনি এই আয়বৃদ্ধি যেন দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে সাংঘর্ষিকনা হয় সেইবিষয়টিবিবেচনাকরাপ্রয়োজন। কর নীতিতেযারকাছ থেকে কর আদায় হোকনা কেন, দরিদ্র ও প্রান্তিকজনগোষ্ঠীরউপরতারপ্রভাববিশ্লেষণকরাপ্রয়োজন। প্রাতিষ্ঠানিক কর আরমূল্যসংযোজনকরেরপ্রভাবধনী-দরিদ্র সবারউপরেএকইভাবেপড়ে, যা দারিদ্র্যবান্ধবনীতিরপরিপন্থি। আরসচেতনভাবে দরিদ্র জনগণকেবর্ধিতকরের বোঝা থেকে রক্ষাকরাপ্রয়োজন।
বক্তারা আরোবলেন, আয়েরসিংহভাগসরকারনিজেরজন্য ব্যয়করছে। সাম্প্রতিককালেসরকারেরসবচেয়েউল্লেখযোগ্য সংস্কারেরএকটিহলসরকারিকর্মকর্তাবৃন্দের বেতনসহসুযোগ-সুবিধাপুনর্বিন্যাস। এই পুনর্বিন্যাসেরফলেসরকারেরপ্রশাসনে যোগ্য মানুষেরসংখ্যাবাড়বেআশাকরাযায়। কিন্তু প্রশাসনেরব্যাপকরাজনীতিকরণেরকারণেজবাবদিহিতারজায়গায়যদি পরিবর্তননাআসে, তাহলেসার্বিকভাবেএটি অর্থনীতিতেব্যাপক নেতিবাচকপ্রভাব ফেলবে।

শিক্ষাক্ষেত্রেবাজেটবরাদ্দেরউপর গুরুত্ব আরোপকরে বক্তারা বলেন, শিক্ষার গুণগত মানআর অর্থনীতিরচাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখেশিক্ষাকাঠামোর যে সংস্কার প্রয়োজন, সেখানেবিনিয়োগ বেশিপ্রয়োজন। অথচ বিনিয়োগেরসিংহভাগযাচ্ছে অবকাঠামোনির্মাণে। অবকাঠামোর উন্নয়নে ব্যয়ের ফলেশিক্ষারসুযোগবাড়বে, কিন্তু কর্মসংস্থানেরজরুরিপরিস্থিতি মোকাবিলানাকরতেপারলে, সার্বিক অর্থনীতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতাহুমকির সম্মুখীনহবে।
সমাজসমীক্ষাসংঘেরনির্বাহীসভাপতিআহমেদ খসরুরসঞ্চালনায়অনুষ্ঠিতপ্রাকবাজেট গোলটেবিল বৈঠকেঅন্যান্যরমধ্যে বক্তব্য রাখেনবিশিষ্টঅর্থনীতিবিদ ও ইস্ট ডেলটাইউনিভার্সিটিরমাননীয়উপাচার্য্য ড. সেকান্দরখান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ এরসভাপতিজনাবমাহবুবুলআলম, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রামএরসভাপতিতপন দত্ত, চট্টগ্রামবিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসনবিভাগেরঅধ্যাপক ড.হোসাইনকবির, নগরপরিকল্পনাবিদ স্থপতি জেরিন হোসেন, চট্টগ্রামসিটিকর্পোরেশনেরকাউন্সিলরনাজমুলহকডিউক, সাংবাদিকইউনিয়নচট্টগ্রামএরসভাপতিনাজিমুদ্দিনশ্যামল, বিশিষ্টসংস্কৃতজনশিশির দত্ত,বাংলাদেশ যুবইউনিয়নচট্টগ্রাম জেলারসভাপতিযুবনেতারিপায়নবড়–য়া, ছাত্রপ্রতিনিধিজি.এমতাওসীফ। গোলটেবিল বৈঠকেরশুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেনসমাজসমীক্ষাসংঘেরনির্বাহীপরিচালকশিহাব চৌধুরীবিপ্লবপ্রমুখ।