শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চৌধুরী হাট ঘাটকুল । চৌধুরী হাট ঘাটকুল দিয়ে এক সময়ে কর্ণফুলী নদী দিয়ে নৌযানে করে চট্টগ্রাম শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতো । চট্টগ্রাম শহর থেকে মালামাল ক্রয় করে রাউজানের ব্যবসায়ীরা কর্ণফুলী নদী দিয়ে এনে চৌধুরী হাট ঘাটকুল এলাকায় তুলে মালামাল রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতো । এছাড়া ও চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও রাউজানের বাসিন্দ্বারা চৌধুরী হাট ঘাটকুল দিয়ে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে সাম্পান করে যাতায়াত করতো । কালের বির্বতনে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলী নদী দিয়ে নৌযানে করে মালামাল পরিবহন কমে যায় । রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট ঘাটকুল দিয়ে এখনো রাউজানের বাসিন্দ্বারা নৌযানে করে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার কধুর খীল চৌধুরী হাট ঘাটে উঠে আত্বিয় স্বজনের বাড়িতে ও বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করে। বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দ্বারা কর্ণফুলী নদী পার হয়ে নৌযানে করে রাউজানে আত্বিয় স্বজনের বাড়ী ও বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করতে হয় এখনো । রাউজান ও বোয়ালখালী উপজেলার শত শত বাসিন্দ্বাদের চলাচলের স্থান বোয়ালখালী উপজেলার চৌধুরী হাট ঘাটে কোন সমস্যা না থাকলে ও রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট ঘাটকুলে সমস্যা রয়েছে । কর্ণফুলী নদীর জোয়ার আসলে ঘাটের পুরো সড়ক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় । পানিতে নেমে নারী ও পুরুষ ছেলে মেয়েরা সাম্পানে উঠে চলাচল করে। ভাটার সময়ে ঘাট থেকে কাদাঁমাটি দিয়ে হেটে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে এলাকার বাসিন্দ্বারা নৌযানে উঠতে হয় ও নৌযান থেকে নেমে আসতে হয় । এলাকার শত শত মানুষের প্রতিদিনের চলাচলের স্থান রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট ঘাটকুল এলাকায় ঘাটে যাওয়ার সড়কটি নির্মান করা হলে ঘাট দিয়ে চলাচলকারী বাসিন্দ্বাদের দুর্ভোগ লাঘব হবে । রাউজানের নোয়াপাড়া চেধৈুরী হাট ঘাটকুল এলাকা থেকে বোয়ালখালী উপজেলার চৌধুরী হাট এলাকায় লোকজন কর্ণফুলী নদী পারাপারকারী সাম্পানের মাঝি আবু জাহেদ বলেন, নদীতে জোয়ারের সময় জোয়ারের পানিতে ঘাটে আসার সড়কটি তরিয়ে যায় । বাসিন্দ্বারা পানিতে নেমে পরণের কাপড় ভিজিয়ে চলাচল করে। ভাটার সময়ে ঘাটের পাশে নদীর মধ্যে কাদা মাটি দিয়ে হেটে বাসিন্দ্বারা পার হতে হয় । প্রতিজন ১৫ টাকা করে ভাড়া নিয়ে সাম্পান যোগে নদী পারাপার করে। প্রতি ট্রিপে ঘাটের ইজরাদার দার শফিকে ২০ টাকা করে দিতে হয় । কর্ণফুলী নদীর নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট ঘাটকুল এলাকার শত শত মানুষের পারপারের ঘাট সংস্কার ও সড়ক নির্মান করার দাবী জানান এলাকার লোকজন । রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট ঘাটকুলের ঘাটের ইজারাদার শফি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইজারা দিয়ে ঘাট নিয়েছি । ঘাটের সড়কে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় । ভাটার সময়ে কাদাঁমাটি দিয়ে পায়ে হেটে এলাকার বাসিন্দ্বারা দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয় । রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সেকান্দর হোসেন বলেন, নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট ঘাটকুল এলাকায় কর্ণফুলী নদীর ঘাটে সম্পানে উঠার জন্য সড়কটি নির্মান করা হলে ও বর্ষার মৌসুমে সড়কটি তলিয়ে গেছে । সড়কটি পুনরায় নির্মান করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া ।
