পিতৃহারা সন্তানেরা এখন কি করবে, তাদের ঘরণীদের অবস্থাইবা কি হবে!

তাপস কুমরি নন্দি চৌদ্দদিন আগে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ ভাইয়ের বাবা ডা. সুরেশ চন্দ্র শীল পরলোক গমন করেন। গেল মঙ্গলবার সুরেশ চন্দ্র শীলের সন্তানেরা তাদের বাবা’র শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের জন্য সনাতন ধর্মমতে সাত ছেলে ও এক মেয়ে ভোরবেলা ক্ষৌর কর্ম (মাথার চুল ফেলে দেওয়া) সম্পন্ন করতে মালুমঘাট হাসিনাপাড়ার তিন রাস্তার মন্দিরে যান। মন্দির থেকে ক্ষৌরকর্ম শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভোর ৫টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট বাজার সংলগ্ন নার্সারি এলাকায় দ্রুতগামী একটি পিকআপ গাড়ির চাপায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে একই পরিবারের ৫ সহোদর নিহত হন।এনিয়ে সোশাল মিডিয়াসহ সব কয়টি গন মাধ্যম ফলাও করে সংবাদটি ছাপিয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ হাসিনা পাড়া এলাকার মৃত সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে ডা. অনুপম শীল (৪৬), তার ভাই নিরুপম শীল (৪০), দীপক শীল (৩৫), চম্পক শীল (৩০)।
সনাতন ধর্মের রীতিনীতি অনুসারে নিহত ৫ সহোদরের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব পড়েছে অবুঝ শিশু সন্তানদের ওপরে। তার প্রেক্ষিতে নিহতদের শিশু সস্তানেরা তাদের প্রয়াত বাবার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করেন শুক্রবার।
এই এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। ঘটনার পর থেকে মনে করেছিলাম এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য লিখবোনা,কারণ আমি নিজেও মর্মাহত।
গতকাল আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম,এই সময়ে শোকাভিভূত শীল পরিবারটির সঙ্গে থাকা খুবই প্রয়োজন।
অনুপম,নিরুপম,দিপক ও চম্পক শীল এর অবুঝ সন্তানদের জন্য ভাবা দরকার।
তাদের সহধর্মিণীরা কি খেয়ে বাঁচবে।
ডা,সুরেশ চন্দ্র শীল এর শোকাহত সহধর্মিণী কি ভাবে জ্বলন্ত পাঁচ সন্তানের মৃত্যুর কথা ভূলবে।
সব কিছু বিষয় চিন্তা করে আমরা কয়জন ‘একটা সহায়তা তহবিল’ করার চিন্তা করলাম।ইতিমধ্যে অনেকের সাথে ষোগাষোগ হলো, সবাই সউৎসাহে এগিয়ে আসছে। আপনারাও এগিয়ে আসুন।
মানুষ মানুষের জন্য।
https://www.facebook.com/tapashkumar.nandy/posts/3058123394404744