সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য ভূমি বাংলাদেশ

চবি ক্যাম্পাসে বাণী অর্চনা অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য
সনাতন ধর্ম পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বাণী অর্চনা ২০২২ উপলক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর ক্যাম্পাসস্থ কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপান করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাণী অর্চনা, সম্মাননা স্মারক প্রদান, ভজনকীর্তন, ঢাক-শাঁখ-ধুনুচি নৃত্য ইত্যাদি। এ উপলক্ষে বিকাল ৪:৩০ টায় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বাণী অর্চনা ২০২২ উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানের মূর্ত প্রতীক হলো দেবী সরস্বতী। যুগ যুগ ধরে আবহমান বাংলায় আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে এ পূজা-পার্বণসহ বিভিন্ন ধর্মের আচার অনুষ্ঠানগুলো। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য ভূমি আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। সকল ধর্মের মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সহমর্মিতার সাথে এ দেশে বসবাস করে আসছে। এখানে ধর্ম যার যার হলেও সকলে মিলেমিশে উৎসব উযদাপন করে থাকে। মাননীয় উপাচার্য বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ মূলনীতির উপর ভিত্তি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এ বাংলাদেশে কোন সাম্প্রদায়িকতার স্থান হবে না। তিনি আরও বলেন, প্রজন্মের সন্তানদের কাছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে তাদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।
চবি সনাতন ধর্ম পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ -এর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখনে চবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. শংকর লাল শাহা, বাণী অর্চনা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. অনিমেষ বিশ্বাস, চট্টগ্রামস্থ নন্দনকানন ইস্কনের অধ্যক্ষ পন্ডিত শ্রী গদাধর প্রভু এবং কমিটির সদস্য-সচিব জনাব বিষ্ণু প্রসাদ বর্মন। অনুষ্ঠানে চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।