২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক এই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে মাত্র ১৩ ভোটে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তবে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদটি বাতিল হতে পারে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হয়ে গত (বুধবার) ২ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের কাছে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা আসে। তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বেশ খুশি বাদী চিত্রনায়িকা নিপুণ।
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগগুলো আমলেই নেয়নি। বাধ্য হয়ে মন্ত্রণালয়ে গেছি আমরা। ডকুমেন্টসহ যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছিলাম, তাতে পুরো নির্বাচনের ফলই বাতিল হওয়ার কথা বলেছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমরা বলেছি, ‘যে দুই পদ নিয়ে অভিযোগ, ওই দুই পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। পরে অভিযোগের ডকুমেন্টগুলো দেখে ওই দুজনের ব্যাপারে আপিল বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।’
নিপুণ আক্তার
আর এই চিঠিতে বাদী ও বিবাদী উভয়কে নিয়ে (শনিবার) ৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে বিএফডিসিতে বসবেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
শিল্পী সমিতি নির্বাচনে আপিল বোর্ডের প্রধান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হবে। সেখানে আমরা অভিযোগকারী এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে ডাকব। তাদের দুই পক্ষের কথা শুনে আলোচনা করে তারপর তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্ডার এসেছে- আপনারা ব্যাপারটাকে আমলে নিয়ে আলোচনা করে তাদের উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হবে।’জায়েদ খান
তবে চিঠির ব্যাপারে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচন শেষ। ২৯ জানুয়ারি করা আপিলের নিষ্পত্তি ও চূড়ান্ত রায় নিপুণরা সবাই মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরের কাগজ আমার কাছে আছে। এরপর নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের আর কোনো কার্যকারিতা নেই। এরপরও বাদীর কিছু বলার থাকলে মহামান্য কোর্টে গিয়ে বলতে পারেন। আমাকে সোহান ভাই ফোন দিয়েছিলেন। চিঠিও দেবেন বলেছেন। বসতে চান তিনি। আমি তাকে বলেছি, আমি কেন আপিল বোর্ডের সঙ্গে বসব। কারণ, আপিল বোর্ড তো এখন বিলুপ্ত। কার্যকারিতা ২৯ তারিখেই শেষ হয়ে গেছে। সামনে কমিটির শপথ। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’











