মৌলভীবাজার শহরের চুবরা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে নারী ও শিশু সহ ৩টি পরিবারের ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী রয়েছেন। পুলিশ জানায় কাজের সন্ধানে এরা ২৭ জুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে যায়। পরে সেখানে কোন কাজ না পেয়ে যাত্রীবাহী বাস যোগে মৌলভীবাজার বাস স্ট্যান্ডে নামে ২৮ জুন। মৌলভীবাজার পৌঁছার পর থেকে তারা কাজের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কোন কাজ পায়নি। পরে শুক্রবার রাতে নারী ও শিশুসহ ১৪ জন রোহিঙ্গাকে শহরের চুবরা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে সন্দেহভাজন আটকৃতদের রোহিঙ্গা বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে পুলিশ। মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হক জানান, সন্দেহজনকভাবে ১৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসছে বলে জানায়। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরৎ পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
আটককৃতরা হলেন-কুতুপালং ৮ নম্বর ক্যাম্প, ব্লক-৫৯ এর একই পরিবারের মো. হামিদ হোসেন (৫০), হারুন (১৮), জুনায়েদ (১৪), ওসমানগনি (১০), ওমর ফারুক (১৬ মাস), নূর বেগম (৯), নূর কায়দা (৭) ও সাদিয়া ফাতেমা (৩)। কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্প, ব্লক-ই ৩৮ এর একই পরিবারের শফিক (২২), মিনারা (২০) ও রিয়াজ (৫ মাস)। এ ছাড়াও রয়েছেন-কুতুপালং ৮ নম্বর ক্যাম্প, ব্লক-৩৮ এর আজিজুল হক (২৫)। কুতুপালং ৮ নং ক্যাম্প, ব্লক-৫৮ এর নূর হাসান (৩১)। বালুখালি ৮ নম্বর ক্যাম্প, ব্লক-এ ৩২ এর সোনালি (৫১)। এবিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, ২৭ তারিখ উদ্দেশ্য বিহীনভাবে কাজের জন্য এরা কৌশলে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টামে আসে। সেখানে কাজ না পাওয়াতে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তারা ২-৩ দিন আগেই মৌলভীবাজার পৌঁছায়। তারা কার সাথে ছিলো। তাদের সাথে কোনো দালাল চক্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।











