জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট: বিধিনিষেধ অমান্য করায় মামলা

কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৯ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৯টি মামলা দায়ের করেছেন। জরিমানা করেছেন প্রায় ৬ হাজার টাকা।
শুক্রবার (২ জুলাই) কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম পাঁচলাইশ এলাকায় ১০টি মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন মুহাম্মদ ইনামুল হাসান। তিনি ৩টি মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। নাসিরাবাদ দুই নম্বর গেইট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, বাংলাবাজার, ডেবার পাড়, অক্সিজেন, বালুছড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন গালিব চৌধুরী। তিনি ১৬টি মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় বিভিন্ন দোকান, রেস্টুরেন্ট ও শপিংমলে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ডের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সচেতন করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের নয়জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন । এ সময় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে না চলায় বিভিন্ন দোকান , রেস্টুরেন্ট এবং শপিং মলে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড প্রদান করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে সচেতন করা হয়। অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব নাঈমা ইসলাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় ১০ টা মামলায় মোট ২০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুহাম্মদ ইনামুল হাসান, তিনি ৩ টি মামলায় ১৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন । অন্যদিকে নাসিরাবাদ ২নং গেইট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, বাংলা বাজার, ডেবার পাড়, অক্সিজেন, বালুছড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব গালিব চৌধুরী , এ সময় তিনি ১৬টি মামলায় ২০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এহসান মুরাদ, এ সময় তিনি ৪ টি মামলায় ১১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। সদরঘাট ও কোতোয়ালি এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ রাজিব হোসেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ টি মামলায় ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সুরাইয়া ইয়াসমিন পাহাড়তলি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ টি মামলায় ২০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। অন্যদিকে চাদগাঁও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্লাবন কুমার বিশ্বাস, তিনি ৫ টি মামলা দায়ের করে ২০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। হালিশহর এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রতীক দত্ত, এ সময় তিনি ৫ টি মামলায় ২৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাশাপাশি ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪ টি মামলায় মোট ১৯০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হক করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।