এস এম রুবেল, মহেশখালীঃ মমহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি চরমভাবে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। অথচ সেই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষের কোনো কর্ণপাত নেই বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, মহেশখালী পৌরসভা থেকে শুরু করে কুতুবজোম প্রধান সড়কটি ঘটিভাঙ্গা গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘকাল সংস্কার না হওয়ায় কোনো কোনো জায়গায় প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির ঝু্ঁকি রয়েছে।
২০ জুন কুতুবজোম প্রধান সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বটতলী বাজারের পূর্ব পাশে প্রধান সড়কের দু’পাশে পর্যাপ্ত ড্রেইন না থাকার কারণে রাস্তার মাঝখানে বর্ষার থাবায় বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা তাজিয়াকাটা গ্রামের সড়কেও। অপরদিকে ঘটিভাঙ্গার রাস্তাটি একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুরো রাস্তা জুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলমান বর্ষায় রাস্তার ওইসব গর্তে পানি জমে সিএনজি, টমটম, রিক্সা, মোটর সাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। ইতিপূর্বে অনেক যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বটতলী বাজারের পূর্বে ও পশ্চিম পাশে আশেপাশের লোকজন বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ রাখায় রাস্তায় পানি জমে আছে। একই অবস্থা তাজিয়াকাটা গ্রামেও। সেখানে বর্তমান মেম্বার শামসুল আলম বাদশা বাঁধ দিয়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তার দেখাদেখি কয়েকজন এলাকাবাসীও রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে করে জনদূর্ভোগ দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। এলাকাবাসীরা এই বাঁধ কেটে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান। অন্যতায় তারা সড়কের গর্ত গুলোতে মাছ চাষ করবে।
এই ব্যাপারে কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন জানান, ইতিমধ্যে গোরকঘাটা থেকে ঘটিভাঙ্গা পর্যন্ত প্রধান সড়কের টেন্ডার হয়েছে। আগস্ট এ কাজ শুরু হতে পারে।











