পতেঙ্গা ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়ার্ড় হচ্ছে একটি সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পতেঙ্গা সহ সারা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়েছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে সরকার দলীয়রা। তাই বড় বড় প্রজেক্টের নামে লুটপাটের কারণে দুর্বল বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখন প্রায় সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা অরক্ষিত। উপকূলীয় এলাকার মানুষ এখন ত্রাণ সহায়তা চায় না, তাদের দাবী টেকসই মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ। আর শুধুমাত্র পতেঙ্গার কিছু অংশ দৃষ্টিনন্দন করেও কোন কাজে আসবে না। তাই উপকূলীয় এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় দীর্ঘস্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ জরুরী। তিনি শুক্রবার (২৮ মে) বিকালে নগরীর ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ও ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের ষ্টীল মিল ও ফুলছড়ি পাড়া এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচীর ৮ম দিনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কক্সবাজার টেকনাফ সহ পুরো উপকূলীয় এলাকার মানুষ যেকোন ঘূর্ণিঝড়ের সময় আতঙ্কিত ও অরক্ষিত থাকে। দুর্যোগকালে মানুষের নিরাপত্তার জন্য যেসব সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তাও পানিতে তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা বাঁশখালী এলাকায় কোনো কার্যকর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চট্টগ্রামে আঘাত হানে নি, তারপরও এর প্রভাবে সব বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে, যদি আঘাত হানত তাহলে কি অবস্থা হতো? তিনি অবিলম্বে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় দীর্ঘস্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। এই বন্দর এলাকার যাদের ভূমি অধিগ্রহণ করে বন্দর গড়ে ওঠেছে ঐসব এলাকার মানুষ বন্দরে চাকরি পায় না। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় দুই হাজার পদ খালি রয়েছে। এতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রামের বন্দর এলাকার মানুষকে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা। থাইল্যান্ডের পাতায়া বিচ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে আয়তনে অনেক ছোট। কিন্তু তারা সেখানে ফাইভ স্টার হোটেলসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সে তুলনায় পতেঙ্গায় তেমন অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। তিনি পতেঙ্গা সমুদ্র উপকুলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মান করে সমুদ্র সৈকতকে পর্যটকদের জন্য আরো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার দাবী জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি নেতা মুজিবুল হক, সাবেক কমিশনার মো. ইসমাইল, পতেঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ডা. নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন, উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. হারুন, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কাদের, দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক শফি মেম্বার, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, বিএনপি নেতা আবু জাফর, মো. ইউছুপ, মো. সোলায়মান, মো. আলমগীর, জসিম উদ্দীন, মো. সেলিম, রেজাউল করিম সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।









