ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার শুভেচ্ছা

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা দেশবাসী তথা চট্টগ্রাম ৫ আসনের জণগনের প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন –

লিখিত শুভেচ্ছা বর্তায় তিনি বলেন

ঈদ-উল-ফিতর আনিয়াছে তাই নববিধান,
ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান,
ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার!
ভোগের পেয়ালা উপচায়ে পড়ে তব হাতে,
তৃষ্ণাতুরের হিসসা আছে ও-পেয়ালাতে,
দিয়া ভোগ কর, বীর দেদার।।(কাজী নজরুল ইসলাম)
ঈদ মোবারক
অবিরাম একমাস রমজান মাসের এবাদত এবং ত্যাগ-তিতিক্ষার পরে এলো আনন্দের পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। কিন্তু করোনার কারণে গেলবার থেকেই সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত পৃথিবীর তাবৎ মুসলমান। ঈদের মাহাত্ম্য হলো কোলাকুলি, একে অপরকে বুকে টেনে নেয়া। সেই কোলাকুলির কালচারও এখন তিরোহিত করোনার কারণেই। আমাদের দেশে করোনার চেয়ে ভয়ঙ্কর এক মহামারি জেকে বসেছে গত একযুগ ধরে, তা হলো আওয়ামী বাকশালী শাসন। সেই শাসন করোনাকে তরান্বিত করছে, মানুষের দুঃখকষ্টকে প্রলম্বিত করছে তাদের কুশাসন এবং পাশবিকতার মাধ্যমে। তাদের সৃষ্টি একটি ঘটনায় আমরা সাময়িক জেগে উঠি, আরেকটির অপেক্ষায় থাকি, আগেরটি চাপা দিয়ে পরেরটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। বাংলাদেশের জনগনের জীবনযাপন নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এখন পুরাপুরিই নব্য বাকশালীরা। বিরোধী দলের অস্তিত্ব এখন বিস্মৃতির করালগ্রাসে নিমজ্জিত। বিএনপিসহ বেশীরভাগ বিরোধী শক্তি এখন প্রার্থনা নির্ভর হয়ে গিয়েছে। কারো কারো বদ্ধমূল ধারণাই হয়েছে একমাত্র বিধাতার সাহায্য ছাড়া নব্য বাকশালীদের অত্যাচার হতে বের হওয়ার কোনো পথই নেই, মানুষের চেষ্টা হবে পণ্ডশ্রম মাত্র। অথচ নব্য বাকশালের উত্থান এবং প্রলম্বিত হওয়া ছিল সীমাহীন বাস্তবতা। রাস্তায় স্পীডব্রেকার না থাকলে গাড়ীর গতি যেমন বেপরোয়া হতে থাকে, ঠিক তেমনি বাঁধা না পেলে দুর্বিনীতরাও আরো দুর্বিনীত হতেই থাকবে। আওয়ামী বাকশালীরাও হয়েছে তাই। নিঃসন্দেহে জাতীয়তাবাদী শক্তির উপর নব্য বাকশালীদের অত্যাচার-অবিচার-পাশবিকতা মাত্রাতিরিক্ত ছিল বিগত এক যুগে। যা করোনার আক্রমণের চেয়ে বেশী মারাত্মক। তবুও সদা বিপ্লবী শহীদ জিয়া এবং আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার অনুসারী হিসাবে নব্য বাকশালের বিরুদ্ধে আমরা কি যথেষ্ট বাধা সৃষ্টি করতে পেরেছি? সম্ভবত পারিনি। পারিনি বলেই স্বাধীনতার পরে জন্ম বাকশালের কুশাসনে এখনো আমরা নিমজ্জিত, করোনার বাংলার প্রজাতি ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীরা স্বাধীনতার ৫০’বছর পরে এসেও অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা স্বয়ং বলেছেন, যে জাতি নিজেদের সাহায্য করে না তিনিও তাদের সাহায্য করেন না। সুতরাং আমাদের শুধু প্রার্থনাতে নয়, নিজেদের অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং শক্তির উপর আস্থা রেখে বৈশ্বিক করোনাভাইরাস এবং এর দেশী প্রজাতি নব্য বাকশাল হতে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তা নাহলে ঈদের খুশী, দেশের শান্তি, প্রজন্মের উজ্জল ভবিষ্যৎ এবং কোলাকুলি বাংলার ঘরে ঘরে আর কখনোই ফিরে আসবে না। এতো অন্ধকার, কুশাসন, দূর্দশার মধ্যেও আনন্দ খুঁজে নেয়া অত্যন্ত কঠিন। তবুও মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি উনি যেনো এই দুঃখী জনপদের মানুষকে আলোর পথ দেখান, উদ্ধারের ব্যবস্থা করে দেন। হাটহাজারী, বাংলাদেশসহ এবং প্রবাসী সকল ভাই-বোনদের জানাই ঈদ-উল-ফিতর মোবারক। আপনারা ধৈর্য্য হারাবেন না, সাহস হারাবেন না, ইনশাআল্লাহ আবারও অন্ধকার দূর করে আলো ফুটবেই।