প্রতিনিধি: হাটহাজারীতে করোনা মহামারীর মধ্যেও বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার ব্যস্থতা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। বাজারে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও।
পাশাপাশি বখাটেদের উৎপাতও সমান তালে বেড়েছে বলে জানান ঈদের কেনাকাটা করতে বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেনা-কাটার ভিড় যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনি পাশাপাশি বেড়েছে ইভটিজিং ও বখাটেপনার মাত্রাও। বখাটেপনার কারনে ঘর থেকে বেরিয়েই ঈদের কেনা-কাটার সব আনন্দ মাটি হয়ে যাচ্ছে মহিলা ক্রেতাদের। বখাটেদের অশালীন মন্তব্য আর ইচ্ছাকৃত ধাক্কাধাক্কির শিকার বেশির ভাগ তরুনী বাদ যাচ্ছেনা বয়স্কা মহিলারাও। ঈদ উপলক্ষে হাটহাজারীর বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে আশংকাজনক হারে বখাটেদের উৎপাত বেড়েছে। কিছু কিছু বখাটেরা মার্কেটের আশে-পাশে দাঁড়িয়ে বা হাটতে হাটতে হাতের মোবাইলে মার্কেটে আসা মহিলাদের ছবি তুলার কাজটা সেরে ফেলে। এসব বখাটেদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা শিশু কন্যা,তরুনী,এমনকি বয়স্ক মহিলারাও। মার্কেটে কেনা-কাটা করতে আসা বাবার সাথে মেয়ে,ছেলের সাথে মা ঐসব বখাটেদের বখাটেপনার শিকার হয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। প্রায় প্রতিটি মার্কেটের সামনে একই অবস্থা। প্রতিটি মার্কেটের সামনে বখাটেদের দল বেঁধে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে এবং বেশ কয়েকটি মার্কেটের ভেতরেও ক্রেতার বেশে বখাটেদের বিচরন লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সমস্ত বাজারে ঈদ উপলক্ষে বখাটেদের দল বদ্ধ হয়ে ঘুরা-ঘুরিতো আছেই। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন বাজারের ব্যবসায়ি বৃন্দরা। একটি সূত্রে জানা গেছে, বখাটেপনা রোধে সাদা পোষাকে এবং মহিলা পুলিশদের ক্রেতার ছদ্ধ বেশে ঈদ বাজারের বিভিন্ন বিপনী বিতানে টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মার্কেটে আসা কয়েকজন মহিলা ক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান,শুধু যে বাইরের বখাটেরা বখাটেপনা করছে তা নয়, অনেক দোকানের সেলসম্যানেরাও সুযোগ বুঝে মহিলা ক্রেতাদের বিভিন্ন ভাবে টিজ, যৌন হয়রানি করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে দোকান মালিক ও প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে মত প্রকাশ করেছেন তারা। এদিকে ঈদ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি এতটাই উপেক্ষিত যে অনেককেই খোলা মুখে অন্যের সামনে হাঁচি-কাশি দেওয়া ও মুখের থু-থু দিয়ে টাকা গুনছে। বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। পৌরসদরের মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা বাড়লেও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। জনগণের এহেন অসচেতনতায় হাটহাজারীকে আরও মারাত্মক করোনা সংক্রমণের এলাকায় পরিণত করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। উল্লেখ্য, হাটহাজারীতে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সর্বমোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৩৭ জন বলে সূত্রে জানা গেছে।