ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সিআইডির ঢাকা মেট্টো পশ্চিম বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মামুন জানান, জেলা আওয়ামী লীগের বিতর্কিত এই দুই নেতা দলে অনুপ্রবেশ করে টেন্ডারবাজী, খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকার কাফরুল থানায় গত ২৬ মে ওই দুই ভায়ের নামে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের মামলাও হয়েছে। গত ২৮ মে মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগের পর ফরিদপুরে এসে প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
এদিকে গত ২৭ মে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় বরকত-রুবেলের বদরপুরস্থ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র, বিদেশি মদ, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল জব্দ করা হয়। পরে এ সব ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের হয়। এ সব মামলায় সাত দফায় ২৩ দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে তারা ফরিদপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।
সিআইডির এসপি উত্তম কুমার জানান, গ্রেফতার বরকত-রুবেলের দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে একাধিক একাউন্টে শত শত কোটি টাকা মজুদ রয়েছে। বরকতের ক্ষেত্রে বরকত, বরকত চৌধুরী, বরকত ইবনে সালাম, চৌধুরী ইবনে সালাম বরকত, মের্সাস বরকত এন্টারপ্রাইজ, বরকত ডেইরি ফার্ম ইত্যাদি, রুবেলেরও একই ধরনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
অনুসন্ধান শেষে সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতে ওই দুই ভাইয়ের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাদের আদালতের মাধ্যমে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও সিআইডি সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া ওই দুই ভাইয়ের বাড়ি, পরিবহন, পেট্টাল পাম্প, ভাটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।