পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীতে ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে নেজাম উদ্দিন নেজুকে (৩৮) অপহরণ করার পর মারধর করে আহত করা হয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানের ডেরা বদিউদ্দিন পাড়া থেকে ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অপহৃত নেজাম উদ্দিন নেজু একই ইউনিয়নের হাজীর পাড়া এলাকার সাবেক মেম্বার মৃত আবুল কাসেমের ছেলে এবং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (১৬মে) দুপুর ২টার দিকে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

ইউপি সদস্য আজম উদ্দিন আজু বলেন, চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কার্যালয়ে এসে প্রথমে আমাকে মারধর করে। আমি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নেজু মেম্বারকে মারধর করার পর অপহরণ করে নিয়েও যায়। সেখানেও তাকে হাতুড়ি পেঠা করে পুরো শরীরে আঘাত করা হয়।
ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু বলেন, আমাদের ভাতা বন্ধ ২৭ মাস ধরে। আজকে সব ইউপি সদস্যকে ভাতা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় সচিব নবিউল ইসলাম। আমরা যখন ইউপি কার্যালয়ে অবস্থান করি তখন চেয়ারম্যান ছিলনা। সচিব আমাদের সাথে আলাপ করে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি চেয়ারম্যানকে কি বলছে না বলছে আমরা জানিনা। চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অস্ত্র সজ্জিত হয়ে কার্যালয়ে উপস্থিত হন। আজুকে মারধর করলে তিনি পালিয়ে যান। অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে তাদের গাড়িতে তুলে ফেলেন। গাড়িতে মারধর করতে করতে বদিউদ্দিন পাড়ায় একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পুরো শরীর হাতুড়ি পাঠা করেন। ওই সময় এনাম, আন্টুসহ ১৫জনের মত ডাকাত উপস্থিত ছিল। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সচিবের গাড়িতে আমাকে ওঠিয়ে দেয়।
ইউপি সচিব নবিউল ইসলাম ও চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর এবিষয়ে বক্তব্য দিতে অপরাগত প্রকাশ করেছেন।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানায়, অপহৃত নেজু মেম্বারকে চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম বলেন, বিষয়টি শুনার সাথে সাথে পুলিশ পাটিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।