পবিত্র রমজানে আলম সাইরের পরিবার খোলা আকাশের নীচে রাত্রিযাপন

লিটন কুতুবী:
দূর্যোগ মহামারি করোনা ভাইরাস লকডাউনে থাকা ঘরবন্দি মানুষের বসতঘর ভেঙে দেয়ায় চরম করোনা ভাইরাস নিরাপত্তায় ভোগছেন। সরকারিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসবাস এবং ঘরে থাকার জন্য নির্দেশনা থাকলেও আলম সাইরের পরিবার তা মানতে পারছে না। বর্তমানে আলম সাইর খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। ভূমিহীন আলম সাইরের নেই ঘর,নেই কোন বাসস্থান,নেই কোথাও মাথা গুজাবার ঠাই। খালের পাশেই তার ভিটিঘরে জোয়ারের পানি উঠে বলেই এ মহামারি দূর্যোগে আগে টাকা ধার নিয়ে তার পুরনো ঘর ভেঙে ভিটিতে মাটি ভরাট করে। তার অর্থাভাবে ঐ জায়গায় পলিথিনের ঘর তৈরী করে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নতুন ঘরটিতে এক সপ্তাহ থাকতে পারেনি। একটি কুচক্রিমহলের ইন্দনে কুতুবদিয়ার এসিল্যান্ড করোনা ভাইরাস নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত নৌবাহিনী,আনসার, পুলিশ,তাদের নিয়োগপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে ভূমিহীন আলম সাইরের কুড়ে ঘরটি গুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ,চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের আজম কলোনী গ্রামে লকডাউন অমান্য করে সিনেমা স্টাইলে ভূমিহীন অসহায় পরিবারের বসতবাড়ি ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেন।
জানা যায়, ১৯৬০ সনে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ে বড়ঘোপ বাজারের পশ্চিম পাশে বসবাসরত শতশত পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়ে। তৎসময়ে সরকার গৃহহারা ভূমিহীন মানুষদের পূর্ব বড়ঘোপ এলাকার ৩০ একর ২০শতক জায়গায় তাদেরকে পূর্নবাসিত করে। তখনই এ গ্রামের নাম দিয়েছে আজম কলোনী। তৎ সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ বছর অর্থাৎ ৫ যুগেরও অধিক সময় ধরে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস,কে লিটন কুতুবীর পিতাসহ প্রায় ৫০০ পরিবার বসবাস করে যাচ্ছেন। ঐ সময়ে লিটন কুতুবী ভূমিহীন আলম সাইরকে বসবাস করতে দেয় তার ভোগদখলীয় ভিটি। তখন থেকে ভূমিহীন আলম সাইর পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ইতিমধ্যে একটি কুচক্রিমহলের ঈশ^ান্বিত হয়ে কুতুবদিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধূরী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে নৌবাহিনী,আনসার,স্বেচ্ছাসেবসহ ৫০/৬০ জন লোক নিয়ে লকডাউনে থাকা কর্মহীন পরিবারের বসতবাড়ি ভেঙে দেয়। করোনা ভাইরাস মহামারিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ভূমিহীন হতদরিদ্র মানুষ গুলো চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে দিনোতিপাত করছেন। এ র্দূদিনে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার পলাতক আসামী জকির আলমকে সাথে নিয়ে কুতুবদিয়ার সহকারি কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ হেলাল চৌধূরী ভূমিহীন পরিবারের বসতবাড়ি গুড়িয়ে দিয়ে ক্ষতি সাধন করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার সচেতন মহল।