প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘এমপ্লয়েবিলিটি মাস্টারক্লাস’ শীর্ষক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টরেট অব স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার (ডিএসডব্লিউ) এবং ইউএনডিপি’র ফিউচারন্যাশন প্রজেক্টের যৌথ আয়োজনে ‘এমপ্লয়েবিলিটি মাস্টারক্লাস’ শীর্ষক বিশেষ কর্মশালা (০২ ডিসেম্বর), মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দামপাড়াস্থ ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ছিলেন গ্রামীণ ফোনের টেকনোলজি স্ট্রাটেজি এন্ড ট্রান্সফরমেশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মিসেস ফারাহ তানজিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. আবদুর রহিম এবং প্রক্টর জনাব মোহাম্মদ সোলাইমান চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির বলেন, বর্তমান বিশ্বে শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক জ্ঞানই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন বাস্তবমুখী দক্ষতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং কর্মক্ষেত্রের উপযোগী আচরণ গড়ে তোলা। গ্লোবাল স্কিলস ল্যান্ডস্কেপ প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, আর সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাই হবে আগামী দিনের সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি সবসময়ই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনকে প্রস্তুত করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই ধরনের মাস্টারক্লাস তাদের আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা আজ যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, তা তাদের ক্যারিয়ার সিদ্ধান্ত, পেশাগত প্রস্তুতি এবং লিডারশিপ স্কিলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনবে। আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেকে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করে তুলুক।

স্পিকার মিসেস ফারাহ তানজিম বলেন, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, পেশাগত নেটওয়ার্কিং, ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং এবং কার্যকর সিভি—এগুলো চাকরির বাজারে প্রবেশের সময় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। অংশগ্রহণকারীরা আজ এসব বিষয়ে শিক্ষা পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের যুগে সক্ষমতা বলতে শুধু প্রযুক্তি জানাকে বোঝায় না; এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সমস্যা-সমাধান দক্ষতা, ক্রিটিক্যাল থিংকিং, টিমওয়ার্ক এবং অভিযোজন ক্ষমতা। তরুণ প্রজন্ম যত দ্রুত এসব দক্ষতা আয়ত্ত করতে পারবে, তত দ্রুত তারা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবে। তিনি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ প্রবণতা এবং চাকরিক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বহুমাত্রিক স্কিল নিয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

বিশেষ অতিথি ড. আবদুর রহিম বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পেশাগত দক্ষতা গঠনে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। শুধু ভালো ফল নয়—ব্যক্তিত্ব, যোগাযোগ দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত বোঝাপড়া ক্যারিয়ার নির্মাণের মূল ভিত্তি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফিউচারন্যাশন প্রজেক্টের ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর অনিন্দিতা বড়ুয়া। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিউচারন্যাশনের রিজিয়নাল স্কিলস হাব ফ্যাসিলিটেটর (চট্টগ্রাম) জনাব মো. কবির হোসেন এবং প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।