‘একটা বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে’

শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটা নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটা বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে। আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের সময় সুবর্ণচরে বিএনপির যারা ভোট দিতে গিয়েছিল তাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল। এখন আমাদের এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিশু ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে বর্তমানে কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে নগরের লালখান বাজার আমিন সেন্টারের সামনে মহিলা দলের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র। চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই মানুষ তাদের সব মৌলিক অধিকার হারিয়েছে। অপরাধী অপরাধ করার আগে আইনের প্রয়োগ যদি ঠিকঠাক থাকত, আইনের শাসন যদি প্রয়োগ করা হতো, তাহলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।

তিনি দ্রুততম সময়ে ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় এনে সবাইকে মাগুরার সেই শিশুর পরিবারের পাশে থাকার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ধর্ষণ শেখ হাসিনার আমলে গণধর্ষণে পরিণত হয়েছিল। বিচারহীনতার কারণে এই সংস্কৃতির সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় নারী ও শিশু ধর্ষণের হার দিন দিন বাড়ছে। তাই ধর্ষণের মামলার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিশ্চিত করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি সকিনা বেগম, সহ সভাপতি মারিয়া সেলিম, অ্যাডভোকেট আশরাফী বিনতে মোতালেব, রেনুকা বেগম, রেজিয়া বেগম মুন্নী, মাহমুদা আক্তার ঝর্ণা, ফারহানা জসিম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাবেয়া বেগম রাবু, যুগ্ম সম্পাদক শামসুন্নাহার প্রেমা, জাহানারা চৌধুরী, কামরুন নাহার, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আহমেদ লিমা, ফারহানা রোজা, হাবিবা বেগম প্রমুখ।