রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনে পুড়ে গেছে দেড় হাজার ঘরবাড়ি। এসব ঘরে থাকা লোকজন সেদিন আগুন নেভাতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন, কেউ পুঁড়ে গেছেন। আবার পরবর্তীতে পোড়া ঘরে রাত্রীযাপন করতে গিয়ে অনেকে সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।

এসব রোগীকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে গত তিন দিন ধরে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপির পক্ষ থেকেও মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। সেখানে রোগী দেখা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ওষুধপত্রও দেওয়া হচ্ছে। এসব কাজে নিয়োজিত আছেন বিএনপিপন্থি চিকিৎসক, কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে এ সেবা শুরু করেছেন তারা। আজও চলছে তাদের চিকিৎসা ক্যাম্প। চিকিৎসকরা রুটিন করে তিন বেলা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন কড়াইল বস্তিতে আহতদের।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কড়াইল বস্তির মাজাররোডে অস্থায়ী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিকিৎসা দেওয়ার কাজে নিয়োজিতরা জানালেন, তারা জ্বর,কাশি, পোড়া, শরীরের কাটা, ডায়ারিয়া ও প্রেসারের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এছাড়া কাউকে চেকআপ করার পর তাকে হাসপাতালে পাঠানোর মতো হলে পাঠানো হচ্ছে। অধিকাংশই ঠান্ডা জ্বর, কাশি আক্রান্ত লোকজন এই মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল আমরা দুটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেছিলাম। গতকাল সকাল থেকে আমাদের ১২৭ জন কাজ করেছে এবং আজ কাজ করছে ৬৫ জন। এই তালিকায় রয়েছে চিকিৎসক, টেকনোলোজিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট। দুই দিনের টার্গেট নিয়ে তারা এই মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়েছেন।’
তিনি আরও জানালেন, ঘটনার দিন থেকে তাদের টিমের সদস্যরা কাজ করছেন। তারা প্রথম দিন সেবা দিয়ে দুই দিন পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে দাবি করেন।
তার দাবি, তারা বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সারাদিন মিলে ১২০০ ব্যক্তিকে এবং আজ শুক্রবার সকাল থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৭০০ জনকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ।
এই মেডিকেল ক্যাম্পে সাড়া দিয়ে ঘরপোড়া লোকজন ছাড়াও বস্তির লোকজন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন। প্রেসার মেপে কেউ কেউ ওষুধ নিচ্ছেন। সেবা নিতে আসা লোকজনের মধ্যে বেশির ভাগই জ্বর ও সর্দির ওষুধ খুঁজছেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত তিন দিন থেকে যারা পোড়া ঘরের নিচেই রাত্রীযাপন করছেন তারাই বেশি করে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই তালিকায় শিশু থেকে বৃদ্ধরাও রয়েছেন।











