দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫, মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধ ও দমন অধ্যাদেশ-২০২৫, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অধ্যাদেশ-২০২৫ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ (সংশোধন)-২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নতুন দুর্নীতি দমন কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫-এর খসড়ায় কমিশনের সঙ্গে জড়িতদের জন্য নিয়মিত সম্পদের হিসাব দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ এই খসড়ার চূড়ান্ত ও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
প্রেস সচিব আরও জানান, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কমিশন গঠনের জন্য একটি বাছাই কমিটি করার প্রস্তাব বাদ দেয়া হয়েছে।
এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, দেশে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের প্রেক্ষাপটে বাছাই কমিটি গঠনের মাধ্যমেও নতুন করে দুর্নীতির বিস্তার লাভের সম্ভাবনা থাকতে পারে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিশনে পাঁচজন কমিশনার থাকবেন, যার মধ্যে অন্তত একজনের তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) বিষয়ক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
অন্যদিকে রাজউক আইন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, সারা দেশে ভবন নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রাজউকের মতো একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা যায় কি না, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন এবং তারই আলোকে রাজউক অধ্যাদেশের খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল।











