খাগড়াছড়িতে মোবাইল কোম্পানীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আঞ্চলিক সংগঠন গুলো। তিন দফায় মোবাইল টাওয়ারে হামলা, ভাঙচুর ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কেটে দেয়া হয় অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল।
এতে করে ব্যাহত হচ্ছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন কোম্পানীর সবধরনের সেবা। এক মাসের বেশি সময় ধরে গ্রাহক ভোগান্তি হলেও কোম্পানী গুলোর কোন উদ্যোগ নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চাঁদা না পেয়ে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনের দুর্বৃত্তরা বারবার হামলা চালাচ্ছে মোবাইল টাওয়ার ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে। গেল এক মাসে খাগড়াাছড়িতে ১১ টি মোবাইল টাওয়ারে হামলা, ভাঙচুর ও চট্টগ্রাম থেকে আসা বিটিসিএল’র অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে কয়েকটি মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানীর সবধরনের সেবা।
ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা ভেঙে পড়ায় মোবাইল ব্যাংকিং, ইউটিলিটি সেবা ও খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে। জেলা সদর কেন্দ্রিক সেবা কিছুটা মিললেও প্রত্যন্ত অঞ্চল ও উপজেলায় ভোগান্তি চরমে।
খাগড়াছড়ির সাধারন গ্রাহকরা জানান, গত এক মাস ধরে খাগড়াছড়ির রবি, এয়ারটেল, গ্রামীন ও বাংলালিং এর কোনো নেটওয়ার্ক নেই। জেলা সদরে টেলিটকের নেট পাওয়া গেলেও অত্যধিক গ্রাহকের চাপে প্রায় সময় নেট কেটে যায় বা লাইন পাওয়া যায় না।
খাগড়াছড়ি কাউন্সিল অব কনজুমার রাইটসের সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রউফ ও স্থানীয় সাংবাদিক এইচএম প্রফুল্ল জানান, নেটওয়ার্ক সেবা দ্রুত স্বাভাবিক করতে কোম্পানীগুলোর হস্তক্ষেপ চায় নাগরিক সমাজ।
চাঁদা না পেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা অচল করতে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো ধারাবাহিক হামলা চালালেও আইননি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কোম্পানীগুলো। এ বিষয়ে সামনাসামনি কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে মোবাইল ফোনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের সংগঠক, অংগ্য মারমা।
এদিকে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, সংশ্লিষ্টরা নিরাপত্তা চাইলে সার্বিক সহযোগিতার করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জেলার ৫টি উপজেলায় তিন দফায় মোবাইল টাওয়ারগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটলেও এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাছাড়া হয়নি কোনো মামলাও।