রোমাঞ্চকর অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হয়েছে পার্থ টেস্ট দিয়ে। যেখানে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। সেই দাপটে আপাতত জয় সফরকারী ইংলিশদের। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও তারা ৪০ রানের লিড পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যেমন মিচেল স্টার্ক গতির ঝড় তুলেছেন, তেমনি ইংলিশদের পক্ষে বেন স্টোকস, ব্রাইডন কার্স ও জোফরা আর্চার সম্মিলিত আঘাত হেনেছেন।
২২ নভেম্বর (শনিবার) অবশ্য অস্ট্রেলিয়া নেমেছিল স্রেফ ১ উইকেট হাতে রেখে। গতকাল দিনশেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান। তখনও ইংল্যান্ডের চেয়ে ৪৯ রানে পিছিয়ে, আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আর মাত্র ৯ রানের ব্যবধান ঘুচাতেই অলআউট স্টিভেন স্মিথের দল। অস্ট্রেলিয়া ১৩২ রানে অলআউট হওয়ায় ইংলিশরা প্রথম ইনিংস থেকে ৪০ রানের লিড পেয়েছে।

এর আগে গতির ঝড়, বাউন্স আর একের পর এক উইকেট—প্রথম দিনেই ধস নেমেছিল দুই দলের ব্যাটিংয়ে। এক দিনেই পতন হয় দুই দলের ১৯টি উইকেট। ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজের গত ১০০ বছরে প্রথম দিনে যা সর্বোচ্চ উইকেট পতনের রেকর্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নামা ইংলিশদের বিপক্ষে বিধ্বংসী স্পেলে মিচেল স্টার্ক একাই শিকার করেন ৭ উইকেট। তাতে মাত্র ৩২.৫ ওভারে ১৭২ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। অ্যাশেজে এক ইনিংসে এর চেয়ে কম ওভার ইংল্যান্ড খেলেছে মাত্র একবারই, সেটিও ১৮৮৭ সালে।
অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বল হাতে পাল্টা আক্রমণ ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় বলেই জোফরা আর্চার অভিষিক্ত ব্যাটার জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে শূন্য রানে সাজঘরে পাঠান। সেই যে শুরু। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাকি কাজটা সারলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। তার ঝুলিতে গেল ৫ উইকেট। এ ছাড়া কার্স ৩ এবং আর্চার ২ উইকেট শিকার করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে। এ ছাড়া ক্যামেরন গ্রিন ২৪, ট্রাভিস হেড ২১ ও অধিনায়ক স্মিথ ১৭ রান করেন। এর আগে ইংলিশদের পক্ষে হ্যারি ব্রুক ৫২, ওলি পোপ ৪৬ এবং জেমি স্মিথ করেছিলেন ৩৩ রান।











