অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, জুলাই গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে এসেছে, তা দেখে পৃথিবীর যে-কোনো আদালত বলবে যে অভিযুক্তরা দোষী। ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ হয়েছে তারাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঝিনাইদহের শৈলকূপায় রোটেক্স ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কর্মমুখী শিক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন ও স্বধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা যেমন শিক্ষার দিকে নজর দিচ্ছি, তেমনি নজর দিচ্ছি আইনের শাসনের দিকে। কীভাবে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়, আমরা তার প্রতি নজর দিচ্ছি। নিরপরাধ মেজর সিনহা পুলিশি দুর্বৃত্তায়নে হত্যার শিকার হন, আমরা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেই মামলার বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানোর অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য প্রমাণ এসেছে, তা পৃথিবীর যে-কোনো আদালতে উত্থাপন করা হলে সাক্ষ্য প্রমাণ বলবে এরাই দোষী। এরাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, আজ ট্রাইবুনালের রায় নিয়ে অনেকেই নানা রকম কথা বলছে। আপনারা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখছেন। আর আমি দেখেছি, শেখ হাসিনার নির্দেশে মাত্র ২০ দিনে ১৪শ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আমি দেখেছি, ৩০ হাজার মানুষ হাত-পা ও চোখ হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। কাজেই, শেখ হাসিনা আমার কাছে মুখ্য নয়। আপনারা যারা সমালোচনা করেন, তারা কী এগুলো দেখেননি?
এর আগে সকালে শৈলকূপার শিক্ষা ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন রোটেক্স ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সংগঠনের উপদেষ্টা মো. আব্দুল মজিদ। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ই আর বিভাগের শিক্ষক সৈয়দা আতিকুর নাহার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওয়ালিদ হাসান পিকুল, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক রাশেদুজ্জামান।











