লামায় ইটভাটায় অভিযান, যৌথ বাহিনীর গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষে আহত ২০

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথে যৌথ বাহিনীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা পাহাড়তলি বাদশার টেক এলাকায় গাড়িবহর পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবিসহ যৌথবাহিনীর গাড়িবহরের ওপর হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ও চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর এলাকায় অন্তত ৩১টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় আইন না মেনেই নির্মাণ করায় পরিবেশ অধিদপ্তর এসব ভাটা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ান উল ইসলাম ও লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবায়েত আহমেদের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান শুরু করে। তবে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বাদশার টেক এলাকায় পৌঁছালে ইটভাটার শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে বাধা দেন।

শ্রমিকেরা সড়কে শুয়ে ইটভাটা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবি ও পুলিশের ৭-৮ জন ও ১২-১৩ জন শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনায় ইটভাটার ৮ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।

লামা থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ায় সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী টিমের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করে চকরিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

লামা উপজেলার সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত আহমেদ বলেন, ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকেরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।