মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি): আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের অর্ডার পেয়েছে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম)।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ওই পরিমাণ রঙ্গিন কাগজের অর্ডার দিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭৮ দশমিক ৯ মে. টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭৩৬ মে. টন কাগজ ধাপে ধাপে উৎপাদন করে জানুয়ারি’২০২৬ এর মধ্যেই সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্। তিনি জানান, চলতি ২০২৫- ২০২৬ অর্থ বছরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে রঙ্গিন (সবুজ,গোলাপী, এজুরলেইড) ও বাদামী সালফেট কাগজ মিলে সর্বমোট ৯১৪ দশমিক ৯ মে. টন কাগজের অর্ডার পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১১.১১ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে কাগজ সরবরাহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যথাসময়ে অর্ডারকৃত কাগজ সরবরাহ করা হবে।
তিনি জানান, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে কেপিএমের কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৫০০ মে. টন। এই কাগজের মূল্যমান প্রায় ৪০- ৪৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১০৯৩ মে. টন কাগজ উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে কারখানার উৎপাদন চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ স্টেশনারী অফিস (বিএসও), বিভিন্ন বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় সহ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ হাজার ৮শ’ ৯৪ মে. টন কাগজ সরবরাহের আদেশ পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৭.৩৩ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত কাগজ বিক্রি হয়েছে ৯২৩ মে. টন।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালে ৬৮ একর জায়গার ওপর কারখানা এবং ৪৩১ একর আবাসিক জায়গা নিয়ে উপ-মহাদেশের বৃহত্তম কাগজ কল হিসেবে দেশে প্রথম যাত্রা শুরু করে কর্ণফুলী পেপার মিল। ৭০ বছরের পুরানো এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে। তবুও অব্যাহত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কাগজ উৎপাদন। আগামীতে সরকারের সহযোগিতা পেলে এবং প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক উন্নয়ন করা সম্ভব হলে আবারো পুরনো জৌলুস ফিরে পাবে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড। এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।











