যুক্তরাজ্য প্রস্তুত ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে

ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে দেশটি নিজেদের সেনা মোতায়েনের জন্য ‘প্রস্তুত এবং ইচ্ছুক’ বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে স্টারমার বলেন, যুক্তরাজ্য ‘প্রয়োজনে নিজস্ব সেনা মোতায়েন করে’ ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত।

ডেইলি টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‌‘আমি এটা হালকাভাবে বলছি না।’

‘ব্রিটিশ পুরুষ এবং নারী সেনাদের সম্ভাব্য কঠিন বিপদের মুখে ফেলার যে দায় সেটি আমি গভীরভাবে অনুভব করি।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‌‌‘ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা করার যেকোনো ভূমিকা আমাদের দেশ এবং মহাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে।’

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে পুতিনকে আরও আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে হলে ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধের সমাপ্তি হতে পারে নতুন আক্রমণের আগে পুতিনের কেবল একটি সাময়িক বিরতি

ইউক্রেনীয়-অধিকৃত এবং রাশিয়া-অধিকৃত অঞ্চলের সীমান্তে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির সেনাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মোতায়েন করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লর্ড ড্যানাট যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর বর্তমান সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরই স্টারমার এমন মন্তব্য করলেন। বিবিসিকে ড্যানেট বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী ‘এতটাই দুর্বল’ যে তারা ভবিষ্যতে ইউক্রেনে কোনও শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা করতে পারবে না।

২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেয়া লর্ড ড্যানাট বলেন, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য পর্যায়ক্রমে ৪০,০০০ পর্যন্ত ব্রিটিশ সেনার প্রয়োজন হবে কিন্তু আমারা সেই সংখ্যাটি এখনও পাইনি।’

ইউক্রেনে শান্তি বজায় রাখার জন্য (বাইরে থেকে পাঠানো) মোট ১০০,০০০ সেনার প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দিতে হবে যুক্তরাজ্যকে। কিন্তু সত্যি বলতে, আমরা সেটা করতে পারবো না।

এদিকে সৌদি আরবে শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে ইউরোপ এমনকি খোদ ইউক্রেনের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন, তার দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার আলোচনায় তাদেরও থাততে হবে। নইলে সেই সিদ্ধান্ত তিনি মানবেন না।

এমন পরিস্থিতিতে জরুরি শীর্ষ সম্মেলনের একত্রিত হচ্ছেন ইউরোপের নেতারা। ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্যারিসে ব্রিটেন ছাড়াও বৈঠক করবেন জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্কের নেতারা। সেখানে ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় কমিশনের নেতারাও যোগ দেবেন।

সূত্র: বিবিসি