‘আ’লীগ সরকার গণতন্ত্রের আশা-আকাঙ্খাকে গলা টিপে হত্যা করেছে’

যে গণতন্ত্রের জন্য এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের আশা-আকাঙ্খাকে গলা টিপে হত্যা করে একদলীয় রাষ্ট্র গঠন করেছিল। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ কন্যা শেখ হাসিনাও দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে গণতন্ত্রের স্থায়ী কবর রচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিগত ষোলটি বছর বিএনপির স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এদেশের ছাত্র সমাজ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় মঞ্চে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপি আয়োজিত স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম এসব কথা বলেন।

দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। রচিত হয় নতুন ইতিহাস। ভারতের মদদপুষ্ট স্বৈরাচার ভারতে পালিয়ে গেলেন।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন তিনি। তাঁর নির্ভীক কন্ঠের আহ্বানে এদেশের মুক্তিকামী জনতা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিশ্চিত মৃত্যুর পরোয়া না করে তিনি যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় লাভ অবধি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ষোলটি বছর দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েমের মাধ্যমে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল। পলাতক স্বৈরাচার বিভিন্ন কায়দায় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার কায়েমের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে হবে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা আবুল হাসেম বক্কর, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শিহাব উদ্দিন মোবিন ও মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।