কর্ণফুলী থানাধীন খুইদ্দারটেক এলাকায় শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুরির ঘটনায় পারিবারিক কলহ মেটাতে বসা সালিশে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আরিফ দোভাষ (২০) নামে এক যুবক।
নিহত আরিফ দোভাষ খুইদ্দারটেক এলাকার আহমদ হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পারভেজ (২২) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে ছুরিকাঘাতে মূল অভিযুক্ত কাউসার পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর পুলিশ আসামিকে আটক করতে গেলে স্থানীয়রা পুলিশকে বাধা দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা গিয়ে আসামিকে আটক করে নিয়ে আসে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, একটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সকালে সালিশে বসেছিল। সালিশে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কাউসারসহ কয়েকজন আরিফকে ছুরিকাঘাত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, আমরা আসামি ধরতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। পরে র্যাব সদস্যদের সহায়তায় আসামি একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, আসামিকে আটক করতে দিচ্ছিল না স্থানীয়রা। পরে আমরা গিয়ে আসামিকে নিয়ে আসি। আসামিকে কর্ণফুলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আরিফ দোভাষের আপন চাচাতো ভাই ওয়াহিদের ঘরে চুরি হয়। এই ব্যাপারে তারা কাওসারকে সন্দেহ করে। পারিবারিকভাবে মীমাংসার জন্য সালিশ ডাকে। সালিশ শুরু হওয়ার আগেই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কাউসার টিপ ছুরি দিয়ে ৩/৪টি পোঁচ দিলে আরিফ দোভাষ ঘটনাস্থলে মারা যায়।
ওয়াহিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। কাউসারসহ সবাই একই বাড়ির লোক, পাশাপাশি ঘর। চুরির জিনিস কিছু গতকাল কাউসারের ঘরে পাওয়া গিয়েছিল।