দেশীয় গাছের বাগান সৃজন করে বাকলিয়া দ্বীপ রক্ষার উদ্যোগ

১০৫ একরের বাকলিয়া চরে (দ্বীপ) দেশীয় গাছের বাগান সৃজনের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ কমীর্রা। আজ সকাল থেকে দুই শতাধিক বৃক্ষ রোপন করে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। দ্বীপে লাগানো বৃক্ষের মধ্যে দেশীয় প্রজাতির জাম, জামরুল, চাপালিশ, কদম, গর্জন, নিম ইত্যাদি বৃক্ষ রোপন করা হয়। আগামী একমাস ধরে এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচী চলবে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, এই দ্বীপটি কর্ণফুলীর বুকে একটি সুন্দর সবুজের সমারোহ। দ্বীপটিতে এমনিতেই দেশীয় প্রজাতির অনেক বৃক্ষ টিকে আছে। এখন পরিকল্পিত ভাবে বৃক্ষরোপন করা হলে এটা নদীর মাঝখানে একটি সুন্দর বাগান হবে। এই চরে চসিক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের যে পরিকল্পনা করেছে তা কিছুতেই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর অন্যতম আয়োজক ডাক্তার মঞ্জুরুল করিম বিপ্লব বলেন, এই কর্ণফুলী দ্বীপটা বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের পকিল্পনা আত্মঘাতি। যে হলে নদী স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ নষ্ট হয়ে যাবে। শহরের বর্জ্য নদী পার করে এখানে আনাটা অসম্ভব। এটা হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করার দূরভি সন্ধি। পরিকল্পিত দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো হলে পশু পাখিদের আবাসস্থল হবে। এখানে চমৎকার ইকো ট্যুারিজন সৃষ্টি করা হলে আগামি প্রজন্ম স্বাষ নেয়ার সুযোগ পাবে।
আজকে বৃক্ষরোপনে অংশ গ্রহন করেন, গ্রিন ফিংগার্স এর কো ফাউন্ডার আবু সুফিয়ান, রিতু পারভিন, আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা খানম ছুটি, রোটারিয়ান জি এম মামুন, লেখিকা রেহানা মাহমুদ, মোহসানা ঝর্ণা, শ্রমিক নেতা নুরুল হুদা, আবদুর রহিম প্রমুখ।

সম্মিলিত পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, সৃষ্টি, রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং হিলটাউন, অগ্নিবিনা পাঠাগার যৌথভাবে এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। আগামী সপ্তাহে এই দ্বীপে শতাধিক খেজুর গাছ এবং পরবতীর্তে তাল গাছ ও কেওড়া বন সৃষ্টি করা হবে।