আজ ২২ মে বুধবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং এর পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) সড়ক দুঘটনায় আহত ১৩১৬ জনের মধ্যে যাচাই বাচাই করে ১০৯৬ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৯ জন চালক, ৬৩ জন পথচারী, ৫৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৬ জন শিক্ষার্থী, ০৬ জন শিক্ষক, ১১৯ জন নারী, ৬৭ জন শিশু, ০৩ জন সাংবাদিক, ০২ জন চিকিৎসক , ০১ জন আইনজীবী, ০৩ জন প্রকৌশলী, এবং ০৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০১জন পুলিশ সদস্য, ০৩ সেনাবাহিনী সদস্য, ০১ সাংবাদিক, ০২ জন চিকিৎসক , ১২৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৫৮ জন পথচারী, ৯৩ জন নারী, ৪৯ জন শিশু, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ০৬ জন শিক্ষক, ০৩ জন প্রকৌশলী ও ০৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৮৮ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩৪.৭১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৭.৬১ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৫.৪৮ শতাংশ বাস, ১৩.১৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫.৯৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৬.৭৮ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৭.৪৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.৩২ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩.১৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩.৩৬ শতাংশ বিবিধ কারনে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.২৯ শতাংশ, এবং ০.৪৩ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৫.২৮ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৪.৭৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৪২.৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬.৫৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৪৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৪৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।











