প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা (৭৪)। এরপর তিনি রাজধানী ব্যাংককে নিজ বাসভবনে পৌঁছেছেন। বিলিয়নার থাকসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের মামলা আছে। এ জন্য এক বছরের শাস্তি হিসেবে জেলজীবন অতিবাহিত করছিলেন। তিনি পুলিশের একটি হাসপাতালে বন্দি হিসেবে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। স্বেচ্ছায় ১৫ বছর নির্বাসনে কাটানোর পর গত আগস্টে তিনি দেশে ফেরেন। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় জেলে।
তবে স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তাকে একটি রাতও জেলে কাটাতে হয়নি। তিনি নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার কয়েকদিন পরেই রাজা তার আট বছরের মূল জেলের শাস্তিকে লঘু করে তা এক বছর করেন। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বহু থাই নাগরিক সমালোচনায় মুখর। সমালোচকরা বলেন, ধনী এবং শক্তিধরদের ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়া হয়। রোববার দেখা গেছে ৬ মাস আটক থাকার পর পুলিশ হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে বেরিয়ে যাচ্ছেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, তার বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারলে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। তবে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো শর্তের অধীনে, যেমন মনিটরিং অথবা বিদেশ সফরে নিয়ন্ত্রণের মতো কিছু আছে কিনা তা জানায় নি কর্তৃপক্ষ। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সফল নির্বাচিত নেতা ছিলেন থাকসিন। রক্ষণশীল রাজ অনুগতদের জন্য দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন আতঙ্ক। ওই অনুগতরা সামরিক অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছেন। তাকে দুর্বল করে দিতে আদালতে মামলাকে সমর্থন দিয়েছেন। দুই বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ২০০৮ সালে তিনি দেশ ছাড়েন। বেশির ভাগ সময় কাটান লন্ডন ও দুবাইয়ে। তার পারিবারিক দল ফিউ থাই পার্টি বর্তমানে দেশে ক্ষমতায়। তাকে দেখা হয় দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অন্যতম। তিনি থাইল্যান্ডের গ্রামের সাধারণ লাখ লাখ মানুষের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করা থাইল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী তিনি।