জিপসাম সিলিং বোর্ড ঘোষণার এক চালানের ৫ কনটেইনার পলিশড টাইলস আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
চট্টগ্রামের হালিশহরের নয়াবাজার পিসি রোড এলাকার ডাবল এ ট্রেড কমিউনিকেশন নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে চালানটি চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। এটি খালাসের দায়িত্বে ছিল একই এলাকার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান আদিব ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চালানটি খালাসের জন্য ২৪ জুন বিল অব এন্ট্রি (সি-১০১৫০৯১) দাখিল করা হয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৮৫ হাজার কেজি জিপশাম সিলিং বোর্ডের শুল্ক কর হিসাব করে কাস্টম হাউসের অনুকূলে দাখিলও করে। কিন্তু গোপন সংবাদ থাকায় চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এ সময় মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি ধরা পড়ে। যাতে পাওয়া যায় ৬ হাজার ৮০২ বর্গমিটার পলিশড টাইলস।
এদিকে, ঢাকার নয়া পল্টন এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কোম্পানি নামে তুর্কি থেকে আসা একটি চালানে (সি-১০২০৫৬৪) আনফিনিশড প্রেয়ার সেট ১২ হাজার ২৪৮ বর্গমিটারের জায়গায় ২৬ হাজার ৬০০ বর্গমিটার পাওয়ায় আটক করেছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের পশ্চিম মাদারবাড়ির এসএফ ইন্টারন্যাশনাল।
দুইটি চালান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ক ফাঁকি রোধে আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। জিপসাম সিলিং বোর্ডের ঘোষণায় ৫ কনটেইনারের একটি চালান এবং আনফিনিশড প্রেয়ার সেটের আরেকটি চালান আটক করা হয়েছে। এ দুইটি চালানে কী পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি হয়েছে তার হিসাব এবং আইনগত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।











