বিজেপি ও তৃনমূল কংগ্রেস সমর্থকদের তীব্র সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃনমূল কংগ্রেস সমর্থকদের তীব্র সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাজ্যের ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালি এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ বিজেপিকর্মী ও ১ তৃনমূল কর্মী রয়েছেন।

পুলিশসূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্দেশখালীতে সভা করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে তারা গিয়ে বিজেপির পতাকা খুলতে শুরু করে। এর জের ধরে সংঘর্ষের সৃষ্টি। ঘটনার জন্য দুই দলই একে অপরকে দায়ী করছে। বিজেপির দাবি কংগ্রেসের কর্মীরা প্রথমে বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর হামলা চালায়।
ঘরে ঘরে ঢুকে বিজেপি কর্মীদের ওপর গুলি চালানো হয়। কিন্তু তৃনমূলের দাবি, তারা সভাশেষে মিছিল করতে গেলে বিজেপির কর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। এতে কাইয়ুম মোল্লা নামের এক তৃনমূলকর্মী নিহত হয়। অপরদিকে বিজেপির নিহত কর্মীদের নাম বলা হয়েছে, প্রদীপ মণ্ডল, তপন মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। বিজেপির দাবি তাদের আরও ২ কর্মী নিহত হয়েছেন কিন্তু পুলিশ সে লাশ সরিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বিজেপির এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

এদিকে, চার রাজনৈতিক কর্মী নিহত হওয়ার পর রোববার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়েছিল সন্দেশখালি। বিজেপি এবং তৃণমূল উভয় দলেরই প্রতিনিধিরা গেছেন এলাকা পরিদর্শনে। বিজেপির তরফে গেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ ৭ জনের প্রতিনিধি দল। গোটা ঘটনার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। একই সঙ্গে বিজেপির দাবি, ‘গন্ডগোলটা আর রাজনৈতিক নেই, সাম্প্রদায়িক’ পর্যায়ে চলে গিয়েছে। প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, রাজ্যে কিলার এনে খুন করছে বিজেপি। সব মিলিয়ে শোকের আবহেও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ-রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনায় সরগরম গোটা এলাকা।