দুর্যোগ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের যত প্রস্তুতি

বাংলাদেশ উপকূলের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এ দুর্যোগ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো- দুর্যোগকালীন সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জরুরি সেবা সেল চালু করা। সাগরের তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রস্তুতকৃত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত শুকনো খাবার ও ওষুধ প্রেরণ করা। স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগকালীন যেকোনো ধরনের ব্যয় নির্বাহের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিশ্রুতি। জরুরি ভিত্তিতে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা। বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের বুলেটিন বার্তা প্রচার। বিভিন্ন এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা। কোস্টগার্ডকে তাদের বোটগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয় ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য। সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাসমূহ নিরাপদ অবস্থানে আনার বিষয়টি তদারকি করা। দুর্যোগে হতাহতের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে প্রস্তুত রাখা। প্রয়োজন সাপেক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে জরুরি ত্রাণ ও সহায়তা নেওয়া।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সরকারি সব দফতরে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় অতীতের মতো মানুষের জান ও মাল রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, সিত্রাং মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ১৫ উপজেলায় ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। ১৩টি মুজিবকেল্লা রয়েছে। সেখানে ঘূর্ণিঝড় কবলিতদের আশ্রয় দেওয়া হবে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ নগদ টাকা, শুকনো খাবার ১০০০ প্যাকেট, বিস্কুট ৭০০ কার্টুন, ৫০০ কেক দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।