বল দখল এবং আক্রমণে চেলসির ওপর আধিপত্য দেখায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ম্যাচের তিন মিনিট বাকি থাকতে টিম ব্লু’দের পেনাল্টি উপহার দিয়ে হারতে বসেছিল রেড ডেভিলরা। অন্তিম মুহূর্তে ম্যানইউ রক্ষা পায় কাসেমিরোর গোলে। শনিবার রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।
চেলসি-ম্যানইউ ম্যাচ এ নিয়ে ২৬ বার ড্র হয়েছে। যা প্রিমিয়ার লীগ ইতিহাসে দুই দলের সর্বোচ্চ ড্র। চেলসি-ইউনাইটেডের সবশেষ ৯ ম্যাচের ৭টিই ড্র হয়েছে। আর শনিবারের ম্যাচটি ছিল টানা ৫ম ড্র।
ঘরের মাঠে লন্ডনের কোনো দলের বিপক্ষে টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত রইলো চেলসি, ৭ জয় এবং ৮ ড্র। হোসে মরিনহোর অধীনে ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে এমন দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিল চেলসি। ১০ জয় এবং ৬ ড্র।
প্রিমিয়ার লীগে এ নিয়ে টানা ১০ ম্যাচ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারাতে পারেনি চেলসি। যা টিম ব্লু’দের টানা জয়হীন থাকার রেকর্ডে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
আর্সেনালের বিপক্ষে ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯ ম্যাচ জয়হীন ছিল চেলসি। আর ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে টানা ১২ ম্যাচ ব্ল্যাকবার্নকে হারাতে পারেনি স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি।
শনিবার রাতে গোটা ম্যাচে ৫৬ শতাংশ বল দখলে রেখে চেলসির গোলবারের উদ্দেশ্যে ১৩টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখে ম্যানইউ। অপরদিকে ৪৭ শতাংশ বল দখলে রাখা চেলসি ৬টি শটের ২টি রাখে লক্ষ্যে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধও ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল ম্যাচ। তবে ৮৭তম মিনিটে জর্জিনহোর সফল স্পটকিকে জয়ের প্রহর গুনছিল চেলসি। স্বাগতিক দলের ফরোয়ার্ড আরমান্দোকে ম্যানইউ ডিফেন্ডার স্কট ম্যাকটমিনে ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এরপর হারের শঙ্কায় থাকা ম্যানইউর ত্রাতা হয়ে ওঠেন কাসেমিরো। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে লুক শ’য়ের বাড়ানো বলে দুর্দান্ত হেডে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট পায় ম্যানইউ।
১১ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ হারে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের চারে চেলসি। এক পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ২৬।











