ডবলমুরিং থানার মাদক মামলায় ৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৭ অক্টোবর) ৫ম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত এ রায় দেন।
রায়ের সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন- রাউজান উপজেলার বিনাজুরী গৌর গোপাল মহাজনের বাড়ির নারায়ণ মজুমদারের ছেলে শ্যামল মজুমদার (৩৭), কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার জহুল আলী ভূইঁয়া বাড়ির মৃত আমিনুল হকের ছেলে মো. মামুন হোসেন প্রকাশ মামুন, লোহাগাড়া থানার জমিদার বাড়ির নছর উল্ল্যাহর স্ত্রী আয়শা ছিদ্দিকা (২৭) ও একই থানার মজিদের পাড়ার পেশকার বাড়ির বশির আহম্মেদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল আমান প্রকাশ আমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার বেপারী পাড়ার মো. আবুল হোসেন সওদাগরের ৫ম তলা ভবনের ৩য় তলায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা, ইয়াবা তৈরির কাঁচামাল ৪০ কেজি, পাউডার ৬৫ কেজি, মেশিন ২টি, ডিজিটাল স্কেল ১টি ও ৪ লিটার গোলাপি রং জব্দ করা হয়। তৎকালীন মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ডবলমুরিং থানার মাদক মামলায় ৪ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি শ্যামল মজুমদার, মো.মামুন হোসেন প্রকাশ মামুন ও আয়শা ছিদ্দিকাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, আসামি আবদুল্লাহ আল আমান প্রকাশ আমানকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ২৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় ৪জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।











