কোরিয়া দ্বীপপুঞ্জে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ, সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি, উত্তেজনা

দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পিত সামরিক মহড়া এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের ওই অঞ্চলে সফরকে সামনে রেখে রোববার পূর্ব উপকূলে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, এটা ছিল স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। স্থানীয় সময় সকাল ৭টার সামান্য আগে নর্থ পিয়ংগিয়ান প্রদেশের টাইকোনা এলাকার কাছ থেকে ছোড়া হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছেছিল বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা। উড্ডয়নের পর তা অনিয়মিত পথে ছুটতে থাকে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পতিত হয়েছে জাপানের এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক জোনের বাইরে। এ সময় জাপাজ চলাচল বা আকাশপথে কোনো সমস্যার খবর পাওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সামরিক মহড়ার জন্য ওই অঞ্চলে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান। এ ছাড়া এ সপ্তাহেই সিউল সফরে আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের।

এর আগে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বার্তা দিতে চায়। এর আগে জুনের একদিনে একই রকম স্বল্প পাল্লার আটটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। তারপর রোববারের এই ঘটনা এই প্রথম। জুনের ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন লঙ্ঘন করার কারণে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আহ্বান করে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে জাতিসংঘের সেই রেজ্যুলুশনকে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তারা বলেছে, তাদের আত্মরক্ষা এবং মহাকাশ গবেষণায় যে সার্বভৌম অধিকার আছে, এর মাধ্যমে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া যে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছিল, তারা তারও সমালোচনা করেছে। বলেছে, এসব হলো তাদের শত্রæতামুলক নীতি। ওদিকে এই মহড়ার সমালোচনা করেছে রাশিয়া এবং চীনও। তারা সব পক্ষের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেছে, এমন পদক্ষেপ নেবেন না, যাতে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে তারা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানায়।
এ বছর অপ্রত্যাশিত সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে আছে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ২০১৭ সালের পর এবারই তারা এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর পরই যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য যৌথ সামরিক মহড়া বৃদ্ধি করে, যাতে পিয়ংইয়ংকে নিবৃত করা যায়।