চিলির আপিল খারিজ, বিশ্বকাপে থাকছে ইকুয়েডর

সিদ্ধান্ত বহাল রাখলো ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। ইকুয়েডরের ফুটবলার বায়রন ক্যাস্টিলোকে নিয়ে করা চিলির আপিল খারিজ করে দিয়েছে তারা। চিলি অভিযোগ তুলেছিল, ক্যাস্টিলো কলম্বিয়ান নাগরিক হয়েও জালিয়াতির মাধ্যমে ইকুয়েডরের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলেছেন। ফিফার আইনে বলা আছে, অযোগ্য খেলোয়াড় মাঠে নামালে শাস্তি হিসেবে পয়েন্ট কেটে নেয়া হবে। সেই হিসেবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ক্যাস্টিলোর খেলা ৮টি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের কাছে পয়েন্ট খোয়াতে হতো ইকুয়েডরকে। এতে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যেতো তারা। অন্যদিকে, কপাল খুলে যেতো চিলির। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাস্টিলোকে ‘যোগ্য’ হিসেবে ঘোষণা করলো ফিফা। তবে চিলি হাল ছাড়ছে না, খেলাধুলা বিষয়ক আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)-এ যাচ্ছে তারা।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বে চতুর্থ হয়ে কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় ইকুয়েডর। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক কাতার, নেদারল্যান্ডস ও সেনেগালের সঙ্গে খেলবে তারা।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর ফিফার কাছে ক্যাস্টিলোর ব্যাপারে অভিযোগ জানায় চিলি। ততদিনে ইকুয়েডরের সব ম্যাচের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এমনকি দলটির ভক্ত-সমর্থকদেরও হোটেল রুম বরাদ্দ দিয়ে ফেলেছে কাতার কর্তৃপক্ষ। গত জুনে ফিফা জানায় ক্যাস্টিলোর নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে চিলি। ক্যাস্টিলোকে ‘কলম্বিয়ান’ প্রমাণ করতে শক্তিশালী দলিলও উপস্থাপন করেছিল তারা। কিন্তু ফিফা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকলো।
শুনানিতে কী বলেছে ফিফা?
বৃহস্পতিবার ফিফার আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে মাত্র তিনজন বিচারক উপস্থিত ছিলেন। যাদের একজন নিল এগলেস্টোন। যিনি আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারকা ওমাবার সেকেন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অন্যতম আইনজীবী ছিলেন। ক্যাস্টিলো ইস্যুতে ফিফার আপিল কমিটি বলেছে, ‘সকল নথিপত্রের ওপর ভিত্তি করে এই খেলোয়াড়কে ইকুয়েডরের একজন স্থায়ী নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

শর্ত হিসেবে ফিফা বলেছে, ‘একটি নির্দিষ্ট দেশে বসবাসের ওপর নির্ভরশীল নয় এমন স্থায়ী নাগরিকত্ব ধারণকারী ব্যক্তি সেই দেশের অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে খেলার যোগ্য।’