বিএম ডিপোতে নিহত আরও দুই মরদেহ শনাক্ত

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরও দুই জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়।

শনাক্তকৃতরা হলেন- নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের মো. মাঈন উদ্দিন (২৩) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহজাদপুর গ্রামের মো. জুয়েল রানা (৩১)।

মাঈন উদ্দিনের মরদেহ তার বাবা হেদায়েত উল্ল্যাহ’র কাছে এবং জুয়েল রানার মরদেহ তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে হস্তান্তর করা হয়।

এ নিয়ে শনাক্ত করা হয়েছে মোট ৩৯ জনের মরদেহ। গত ৪ জুন রাতে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ৫০ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ২৯ জনকে প্রথমে শনাক্ত করা হয়। এছাড়া বিকৃত হয়ে যাওয়া ২২টি দেহাবশেষের ডিএনএ সংগ্রহ করে সিআইডি। ফরেনসিক ল্যাবে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর গত ৭ জুলাই ৮টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর আরও ২টি মরদেহ শনাক্ত হলো।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, পরিচয় শনাক্ত না হওয়া ১৪টি দেহাবশেষের মধ্যে ৩টির ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেয়েছে সিআইডি। এর মধ্যে দুজন মাঈন উদ্দিন ও জুয়েল রানা। আরেকটি দেহাবশেষ আগে শনাক্ত হওয়া আবুল হাসেমের মরদেহের খণ্ডিতাংশ। ওই মরদেহ আগেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।