চ্যাম্পিয়নস লীগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। নতুন মৌসুমেও দারুণ ছন্দে লস ব্লাঙ্কোরা। ইউরোপ সেরার মঞ্চের প্রথম ম্যাচে সেল্টিককে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় কার্লো আনচেলত্তির দল। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল রিয়াল। ভালভারদে-ভিনিসিউসদের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে ৮০ মিনিট পর্যন্ত সমতা ধরে রেখেছিল আরবি লাইপজিগ। তবে বাকি দশ মিনিটের নৈপুণ্যে পূর্ণ পয়েন্টই অর্জন করে মাদ্রিদের দলটি। বুধবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লীগের ‘এফ’ গ্রুপের খেলায় লাইপজিগকে ২-০ গোলে হারায় স্বাগতিকরা।
দলের জয়ের রাতে দারুণ মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে এটি ইতালিয়ান ফুটবল ম্যানেজারের ১০০তম জয়। আনচেলত্তির আগে রয়েছেন শুধু স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ম্যানইউ কিংবদন্তি কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লীগে ১০২টি ম্যাচ জিতেছিলেন।
চ্যাম্পিয়নস লীগে কোনো গোল হজম না করে টানা তিন ম্যাচ জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ।
২০১৫-১৬ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো এই কীর্তি দেখালো লস ব্লাঙ্কোরা। আর টানা দুই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে হারের স্বাদ পেলো আরবি লাইপজিগ।
শক্তি-সামর্থ্যে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে লাইপজিগ। ৪৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ৯টি শটের ৩টি লক্ষ্যে রাখে সফরকারীরা। অপরদিকে ৫৩ শতাংশ বল দখলে রাখা রিয়াল ১২টি শটের ৩টি লক্ষ্যে রাখে।
ম্যাচের শুরুতে লাইপজিগ ফরোয়ার্ড ক্রিস্টোফার এনকুকু পরীক্ষা নেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার। তার শট সফলতার সঙ্গেই ঠেকিয়ে দেন বেলজিয়ান তারকা। প্রথমার্ধের আগে পেনাল্টিও পেতে পারত রিয়াল। লাইপজিগ ডিফেন্ডার জাভের শালজের বক্সে ফেলে দেন লুকা মদরিচকে। তবে পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি ম্যাচ রেফারি। ১৯৬৫ সালে ফেরেঙ্ক পুসকাসের (৩৮ বছর) পর রিয়ালের সবচেয়ে বেশি বয়সী আউটফিল্ড খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচটি খেললেন মদরিচ (৩৭ বছর)।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচ ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল। তবে ৮০তম মিনিটে লাইপজিগের দেয়াল ভেদ করেন ভালভার্দে। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রিয়ালকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন মার্কো অ্যাসেনসিও। ফ্রি কিক থেকে পাস বাড়ান টনি ক্রুস। অ্যাসেনসিও বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান।
‘এফ’ গ্রুপের রাতের অন্য ম্যাচে সেল্টিক বনাম শাখতার দানেস্ক ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
২ জয়ে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১ জয় ও ১ ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শাখতার। তিনে থাকা সেল্টিকের পয়েন্ট ১। দুই ম্যাচে লাইপজিগের অর্জন শূন্য।











