বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল চট্টগ্রাম বিভাগীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। অদ্য বিকেল ৩ঘটিকার সময় এক কমিউনিটি সেন্টারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এএম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চলনায় উদ্বোধক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, শ্রমিকের ঐক্যের শক্তি বৃহৎ শক্তি, এই শক্তি গর্জে উঠলে আওয়ামী দুঃশাসন পতন হতে বাধ্য। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থাীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, দেশ গঠনের কারিগর শ্রমিক, সেই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রমিকেরা হেনষ্টার শিকার। কোথাও শ্রমিকের অধিকারের কথা বলার সুযোগ নেই। সরকারের নির্যাতনে শ্রমিকেরা অধিকার হারা।তাই আজকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহনের জন্য শ্রমজীবি মানুষের প্রতি আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে দেশ পরিচালিত হয়। আর সেই দেশের শ্রমিকদের কোনো মূল্য নাই। সরকার দেশে দূর্নীতি লুটপাটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের দাম এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে শ্রমজীবি মানুষকে অনাহারে অর্ধহারে দিনযাপন করছে।
সাবেক মন্ত্রী মেয়র বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাসির উদ্দীন বলেন, শ্রমিক আন্দোলন সূচনা করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শ্রমিকদের রুটি-রুজি অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য আজকে স্বৈরাচারের পিষ্ঠ হয়ে দুঃখে দুঃখে মরছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, শ্রমিকলের এই সম্মেলন প্রমাণ করে দেশের মানুষ ভালো নাই। চারদিকে লুটপাটে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ। এই শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এই চট্টগ্রাম থেকে পতনের ডাক আসবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে এই অবৈধ সরকারের পতন আন্দোলন শুরু হবে। আর সেই আন্দোলনে শ্রমিকদল থাকবে অগ্রভাগে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, ভোট ডাকাত এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটনানোর জন্য শ্রমিক দলই যথেষ্ঠ।
প্রধান বক্তা শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নাই। তাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে শ্রমিকদল রাজপথে থাকবে ইনশাল্লাহ।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মীর হেলাল, দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দল নেতা আবুল কালাম আজাদ, মেহেদী আলী খান, রফিকুল ইসলাম, মিয়া মো. মিজানুর রহমান, মঞ্জুরুল ইসলাম, খুরশিদ আলম, জাকির হোসেন, কাজীর আমির খসরু, খন্দকার জুলফিকার মতিন, মাহবুবুল আলম বাদল, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদু সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এসকে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, নুরুল আমিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, আবদুল মান্নান, মনোয়ারা বেগম মনি, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, বিভাগীয় শ্রমিক দল নেতা শ.ম জামাল, সামশুল আলম, তাহের আহমদ, ইদ্রিস মিয়া, সাহাব উদ্দীন, সফিকুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, শফিকুর রহমান মজুমদার প্রমুখ।
সম্মেলনে কাউন্সিলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা এএম নাজিম উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।