ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনিতে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৭.৬। এতে চারদিক তছনছ হয়ে গেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কারণ, বেশির ভাগ এলাকা প্রত্যন্ত। যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। আজ রোববার সকালে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে একজন রাভু সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি ভূমিকম্পের সময় চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যান।
কিন্তু ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছিলেন না। ফলে তিনি সহকর্মীদের একটি গ্রæপকে জড়িয়ে ধরে তাদের আলিঙ্গন করেন। যখন দেখতে পান তার শেলফ থেকে কাপ, প্লেট পড়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে, তখন ভেবেছিলেন জীবনের শেষ দিন এটাই। বাসায় তার ৯ ও ২ বছর বয়সী সন্তানরা নাস্তা করছিল। তা চারদিকে ছিটকে পড়ে। রাভু একজন ভূ-বিজ্ঞানী। এক মিনিট ধরে কম্পন অব্যাহত থাকে। ফলে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। রাভু বলেছেন, তার শহর কাইনান্তুতে বসবাস করেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এর অবস্থান ভূমিকম্পের উৎস থেকে প্রায় ৬৭ কিলোমিটার দূরে। উৎসের সবচেয়ে কাছের বড় শহর এটি। এ ছাড়া উঁচু ভূমিতে গড়ে উঠেছে অনেক বিক্ষিপ্ত জনবসতি। এর ফলে হাজার হাজার, এমনকি লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারেন।
সকালে নিজের বাড়িকে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পরীক্ষা করে দেখছিলেন তিনি। দেখতে পেয়েছেন স্যুয়ারেজ লাইনের পাইপ ফেটে গেছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। শহরের অন্য স্থান থেকে বন্ধুরা তাকে জানিয়েছেন তাদেরও পাইপ ফেটে গেছে। ময়লা এসে পড়েছে ঘরের মধ্যে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। কোনো বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে এই দেশটির মধ্যাঞ্চলে। এতে কমপক্ষে ১২৫ জন নিহত হন। যেসব এলাকা প্রত্যন্ত এবং অনুন্নত, সেখানেই এই কম্পন আঘাত হানে।









