দেওয়ানহাটে ছয় তলা খান কমপ্লেক্স ভেঙে ফেলছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা অনুযায়ী জায়গা খালি করতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে সিডিএ।
অভিযান চালানো হলেও এ মার্কেটের দোকানদাররা কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি বলে জানিয়েছেন খান কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক জাহিদুল আলম মামুন বলেন, আমাদের সঙ্গে কখনো কথা বলেননি। আমরা উনার সঙ্গে দেখা করতে গেলে কথা বলেননি। উল্টো বের করে দিয়েছেন। আমরা জানি, ৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার চেক পেয়েছেন। চেকটি ওয়াকফ প্রশাসকের কাছে আছে। চেকটি মোতোয়াল্লির কাছে না দিতে আমরা ওয়াকফ প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছি।
দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু মনছুর বলেন, আমাদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে এ ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এই মার্কেটের ৬২ দোকানের মালিক অসহায়। ভবনের মালিকপক্ষ ও সিডিএ প্রকল্প পরিচালকের যোগসাজশে এ ভবন ভাঙা হলো। ভবন মালিক টাকার লোভে আমাদের বলির পাঁঠা বানিয়েছেন। আমার জানতে পেরেছি, প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে ভবন মালিকের আর্থিক লেনদেন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তো ভবন ভাঙতে কাউতে বাধা দিইনি। আমরা চাই আমাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণটুকু দেওয়া হোক। আমরা ন্যায্য পাওনার জন্য উচ্চ আদালতে রিটও করি। কিন্তু সমস্যার সমাধান না করে তারা ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু করেছে। আমাদের সময়ও দেওয়া হয়নি।
আবদুল হাকিম ওয়াকফ স্টেটের মোতোয়াল্লি শফি ইকবাল বলেন, সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যার যা প্রাপ্য দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বিষয়গুলো একটু সময়সাপেক্ষ। তাই ক্ষতিপূরণ দিতে একটু সময় লাগবে।
স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা অনুযায়ী এ ভবন অধিগ্রহণ করা হয়। দুইমাস আগে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। জায়গা খালি না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ থমকে আছে। কিন্তু তারা সরে না যাওয়ার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ ভবনের মালিককে ক্ষতিপূরণের অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে দিয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা মালিকপক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে পারেন।







