আইপিএলে ১৫ কোটি দাম উঠতো আফ্রিদির: অশ্বিন

প্রথম আসরের পর থেকে আইপিএলে খেলার সুযোগ হচ্ছে না পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। প্রতিবেশী দুই দেশের বৈরী সম্পর্কের কারণে বিশ্বসেরা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের দর্শকরা মিস করছেন বাবর-আফ্রিদিদের। আইপিএলে বরবারই সেরা পেসারদের ভালো দাম ওঠে। সেক্ষেত্রে নিলামে কত দামে বিক্রি হতেন শাহীন শাহ আফ্রিদি? ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন মনে করেন, ১৪-১৫ কোটি দাম উঠতো বাঁহাতি এই পেসারের।

গত বিশ্বকাপে ভারতের টপ অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়ে শাহীনের সুইংয়ে। রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলের পর বিরাট কোহলিকেও সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপর বাবর-রিজওয়ানের ব্যাটে ১০ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। চোটের কারণে এবারের এশিয়া কাপ মিস করেছেন শাহীন। তার ইনজুরি পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের আগে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘শেষবার যখন আমরা পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিলাম, শাদাব খান ও হারিস রউফ ভালো বল করেছিল। তবে শাহীন আফ্রিদির বিধ্বংসী ওপেনিং স্পেলই ওদের এগিয়ে দেয়। এশিয়া কাপে আফ্রিদির ইনজুরি পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা।’

আফ্রিদিকে নিয়ে আইপিএল কেমন মাতামাতি হতো, এরপর সেটি ব্যাখ্যা করেন অশ্বিন, ‘আমি ভাবি, আইপিএলের নিলামে শাহীন আফ্রিদি থাকাটা কেমন পাগলাটে ব্যাপার হতো।

একজন লম্বা বাঁহাতি পেসার, নতুন বলে ম্যাচ শুরু করতে যাচ্ছে, ডেথ ওভারে ইয়র্কার ছুঁড়ছে। আইপিএল নিলামে তার দাম উঠতে পারতো ১৪-১৫ কোটি।’
পাকিস্তানের অন্যান্য পেসারদেরও প্রশংসা করেছেন অশ্বিন। এশিয়া কাপে ভারত স্কোয়াডে থাকা অভিজ্ঞ এই স্পিনার বলেন, ‘পাকিস্তানি ফাস্ট বোলাররা ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ কি. মি. গতিতে বল করতে পারে। আমার মনে হয় না বিশ্বের আর কোনো দলের পেস বিভাগের ব্যাকআপ এতটা সমৃদ্ধ। পাকিস্তানের সবসময়ই প্রতিভাবান ক্রিকেটার থাকে।’