আহত যুবদল নেতা আবুল কালাম মারা গেছেন

দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরের সেই যুবদল নেতা আবুল কালাম (৩০) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবুল কালামের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন।

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুপিয়ে আহত আবুল কালামকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। রাত সোড়ে ১২টার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আবুল কালাম সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের ৪ নং পূর্ব মুরাদপুর দেলিপাড়া এলাকার বজলুর রহমানের পুত্র।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ যুবদল নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছিল।

পুলিশ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৬ নারী পুরুষকে আটক করেছে।

সীতাকুণ্ড সার্কেলের এএসপি শম্পা রানী সাহা ঘটনাস্থল থেকে বলেছিলেন, আহত আবুল কালামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। হামলাকারী ৬ জনকে আমরা আটক করেছি। তবে আবুল কালামের অবস্থা ভালো নয়।

জানাগেছে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের ৪ নং পূর্ব মুরাদপুর দেলিপাড়া আরিফের দোকানের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ এর লোকজন আবুল কালামের ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে রাম্তার ওপর ফেলে রাখে আবুল কালামকে। এসময় এলাকাবাসী ও স্বজনরা আবুল কালামকে হাসপাতাল নেয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়।

সাংবাদিকদের কাছে তথ্য পাওয়ার প্রায় ২ ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মারাত্মক অবস্থায় আবুল কালামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং হামলার সাথে জড়িত ৬ জন নারী পুরুষকে আটক করেছে।

এর আগে ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী ৪ নম্বর মুরাদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি নুরউদ্দীন সজীবকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা।

সজীব ছিলেন মুরাদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদপুর গ্রামের আনিসুল হকের ছেলে ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রেজাউল করিমের ভাই।