কাপ্তাই প্রতিনিধি: কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের পূর্ব কোদালার ষাটতলী এলাকায় অবৈধ ভাবে পাহাড়কেটে বালি উত্তোলনের সময় বালু তোলার ৩টি ড্রেজার মেশিন, সাড়ে ৪শ’ ফুট পাইপ, ১৫ লিটার ডিজেল এবং ২টি স্তুপে ১৩ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান। সোমবার (২২ আগষ্ট) বিকেলে তিনি এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময় ৩ টি পাহাড়ে পাহাড় কেটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে পাচারের জন্য স্তুপকৃত বালুও জব্দ করা হয়। এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান টের পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা বালু উত্তোলনের বিভিন্ন সরন্জাম ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় কাপ্তাই ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা এবং এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ সদস্যরা ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন। বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন যাবত কর্তৃপক্ষের অগোচরে অভিনব পদ্ধতিতে একটি সিন্টিকেট বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে এবং নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংস করছিল। আজকে আমরা বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় বিজিবির সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব পালন কারী কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, অনেকদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ছড়া, পাহাড় ও কৃষিজমি কেটে বালু উত্তোলন করে আসছে,যা আইনত সম্পূর্ণ অবৈধ। আশেপাশের কৃষি জমি গুলোও নষ্ট হচ্ছে,পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। গোপনসুত্রে খবর পেয়ে মোবাইল কোর্টের অভিযানে আজ আমরা আসি। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরে জনসম্মুখে বালি তোলার পাইপ ধ্বংস করা হয় এবং জব্দকৃত ড্রেজার মেশিন, বালি ও ডিজেল উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। পাশাপাশি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৪ ধারা লংঘনের অপরাধে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
